হুমকি-ধামকি দিলে দেশ থেকে পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না: হানিফ

হুমকি-ধামকি দিলে দেশ থেকে পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না: হানিফ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বিরোধী দলের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করুন, তাতে বাধা দেওয়া হবে না। কিন্তু কর্মসূচির নামে রাজপথে গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও বোমাবাজি করলে সরকার কঠোর হস্তে দমন করবে।’

১২ মার্চ বিএনপির কর্মসূচিতে বাধার অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়ে হানিফ বলেন, ‘মিথ্যাচার, উস্কানিমূলক কথাবার্তা এবং হুমকি-ধমকি বন্ধ করুন। হুমকি-ধামকি দিলে দেশ থেকে পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না।’

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণমিছিল সফল করার লক্ষ্যে পল্লবী থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে ওই দিন গণমিছিল কর্মসূচির আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ। এটি স্মরণকালের বৃহৎ কর্মসূচি হবে বলে মনে করেন দলটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

রোববার বিকেলে মিরপুর ১২ নম্বার বাসস্ট্যান্ডে অনুষ্ঠিত সমাবেশে হানিফ বিরোধী দলের প্রধান খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘ক্ষমতায় থাকাকালে দেশটাক লুটেপুটে খেয়ে পঙ্গু বানিয়েছেন। আপনার দুই সন্তানের কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের মাথা নত হয়েছে।’

হানিফ বলেন, ‘কুখ্যাত রাজাকারদের পক্ষ নিয়ে গোটা জাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। বলছেন, ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগের বিচার করবেন, আপনাদের এই অপরাজনীতি কোন দিন সফল হবে না।’

যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নেওয়ায় খালেদা জিয়ার মধ্যে ইয়াহিয়া খানের প্রেতাত্মা ভেসে উঠেছে উল্লেখ করে হানিফ ১২ মার্চের কর্মসূচি প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।

বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাবে হানিফ বলেন, লংমার্চের সময় বলেছিলেন বাধা আসছে, লংমার্চ শেষে সাংবাদিকদের বলেছিলেন কর্মসূচি সফল হয়েছে, সরকার আগামীতে সাহায্য করবে। বাধা দেওয়ার ‘অমূলক গল্প’ আপনাদের কৌশল।

এই মিথ্যাচার থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে হানিফ বলেন, ‘নইলে স্বাধীনতাকামী মানুষ এর জবাব দেবে।’

স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী সকল মানুষকে হানিফ ৭ মার্চের র‌্যালিতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ওই কর্মসূচি হবে স্বাধীনতা বিরোধীদের সতর্কবার্তা। এর মাধ্যমে বুঝিয়ে দিতে হবে এদেশে স্বাধীনতা বিরোধীদের ঠাঁই হবে না।’

সমাবেশে আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম জানান, আমাদের কাছে রিপোর্ট আছে ১২ মার্চ সংঘাত সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বিএনপি-জামায়াত-শিবির কর্মীরা ঢাকা শহরের বিভিন্ন হোটেল দখল করছে। রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে বিশৃঙ্খলা করলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সমুচিত জবাব দেবে।

কর্মী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পল্লবী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা।

এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ.ফ.ম. বাহাউদ্দিন নাছিম, কেন্দ্রীয় নেতা এনামুল হক ও মৃনাল দাস, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজ, সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, প্রচার সম্পাদক আব্দুল হক সবুজ প্রমুখ।

এর আগে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেয়। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ