তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালে বিমানের প্রায় ১৮৭৭ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বাধ্যতামূলক স্বেচ্ছা অবসর বা ভলান্টারি রিটায়ারমেন্ট স্কিল-ভিআরএস দেওয়াকে বৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত বিভিন্ন রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে রোববার বিকেলে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আব্দুর রবের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
তবে ওই কর্মকর্তাদের মধ্যে বাধ্যতামূলক অবসরে যাওয়ার পরে যারা বেতন-ভাতা নেননি এবং আদালতে আবেদন করেছেন তাদেরকে আদালত পূণর্বহাল করতে বলেছেন বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন বিমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার জুনায়েদ আহমেদ চৌধুরী।
তিনি আরো জানান, বিমানের অডিট রিপোর্টে দেখা গেছে অনুমোদিত ৩৪০০ পদের মধ্যে ৬০৮টি পদ খালি আছে। এসব পদের বিপরীতে নিয়োগ দেওয়ার সময় স্বেচ্ছা অবসরে যাওয়া কর্মকর্তাদের অগ্রাধিকার দিতে বলেছেন আদালত।
তবে তাদের নিয়োগের ক্ষেত্রে জৈষ্ঠ্যতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, স্বাস্থ্যগত সক্ষমতাও পূর্বের কাজের রেকর্ডের বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে।
ব্যারিস্টার জুনায়েদ আরো বলেন, ২০০৭ সালে এসব কর্মকর্তাদের বাধ্যতামূলক স্বেচ্ছা অবসরে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে বৈধ বলেছেন আদালত।
রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. সালাহউদ্দিন দোলন জানান, যারা স্বেচ্ছা অবসরের সুযোগ সুবিধা উত্তোলন করেন নাই, অর্থ্যাৎ বেতন ভাতা উত্তোলন করেননি, তাদেরকে জ্যেষ্ঠতা সহ নিয়োগ দিতে বলা হয়েছে।
আবেদনকারীদের আইনজীবী ছিলেন, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক, অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু, ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম, ব্যারিস্টার ওমর সাদাত, অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম ও ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক প্রমুখ।
অপরদিকে বিমানের পক্ষে ছিলেন, ব্যারিস্টার আখতার ইমাম, ব্যারিস্টার জোনায়েদ আহমেদ চৌধুরী ও খোন্দকার মো. দিলীরুজ্জামান প্রমুখ।
জানা যায়, ২০০৭ সালের ১ জুলাই বিমানের ১৮৭৭ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বাধ্যতামূলক স্বেচ্ছা অবসরে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে পরিচালক ও জিএম পর্যায়ের কর্মকর্তারাও ছিলেন।
এ সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে প্রায় ১১০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরি ফিরে পেতে বিভিন্ন সময়ে আদালতে ৬১টি রিট আবেদন করেন। এ আবেদন আপিল বিভাগ ঘুরে সর্বশেষ শুনানি হয় বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আবদুর রবের বেঞ্চে। শুনানি শেষ হয় গত ২৩শে জানুয়ারি।
রোববার বিকেলে আদালত এ বিষয়ে রায় ঘোষণা করেন।