বাগমারা উপজেলার দেওলিয়া গ্রামে ২০১৪ সালের ২৩ নভেম্বর রাতের যেকোনো সময় নৃশংশভাবে খুন হন মা আকলিমা বেগম (৫০) ও ছেলে জাহিদ (২৫)। পরের দিন লাশ দুইটি ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসা হয়। ময়নাতদন্ত চলাকালে আকলিমা বেগমের কাপড় থেকে উদ্ধার হয় মোবাইল ফোন। লোভ সামলাতে না পেরে তা লুকিয়ে ফেলেন ময়নাতদন্তের কাজে থাকা চার ডোম।
সেই লোভ করতে গিয়েই মস্ত ফাঁসা ফাঁসতে বসেছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওই ৪ ডোম। রবি, সনি, মনি ও সুধা নামে ওই চার ডোমকে বুধবার রাত ১০টার দিকে আটক করা হয়েছে।
তবে পুলিশের একটি সূত্র জানায়, হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হওয়ার পর থেকে মোবাইল ফোনটি উদ্ধার অভিযানে মাঠে নেমেছিল পুলিশ। অবশেষে বুধবার অবস্থান নির্দিষ্ট করে পুলিশ অভিযান চালায় ও মোবাইল ফোনসহ তাদের অটক করে। মোবাইল ফোনটি কার এ বিষয়ে পুলিশ তেমন কিছুই জানাতে চাননি।
এদিকে, পুলিশের হাতে আটক হওয়ার ৪ ডোমের স্বজনরা জানান, ২৪ নভেম্বর মা ও ছেলের ময়নাতদন্ত করার জন্য রামেকের ময়নাতদন্তের রুমে নিয়ে আসা হয়। ময়নাতদন্ত শুরু হলে আকলিমা বেগমের বুকের কাপড় থেকে মোবাইলটি পায় ওই চার ডোম। পরে লোভে পড়ে বিষয়টি তারা গোপন করেন।
তবে, পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে হত্যার সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পেয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে রাজশাহীর পুলিশ সুপার আলমগীর কবির তাদের চার জনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও মোবাইল ফোনটির বিষয়ে কোনো কিছু জানাতে চাননি।