‘ইউক্রেনে দখলদারিত্বের নকশা রাশিয়ার’

‘ইউক্রেনে দখলদারিত্বের নকশা রাশিয়ার’

ucren22ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য রাশিয়া সর্বশেষ যে পরিকল্পনা দিয়েছে সেটিকে ‘দখলদারিত্বের নকশা’ বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন দূত সামান্থা পাওয়ার বলেছেন, বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ও রাশিয়ান সৈন্যরা গত সেপ্টেম্বর থেকে ইউক্রেনের যে অংশ দখল করেছে সেটিকে বৈধতা দেবার লক্ষেই এই শান্তি পরিকল্পনা দিয়েছে রাশিয়া।

৫০০টি ট্যাঙ্ক ও ভারী অস্ত্র নিয়ে রাশিয়ার প্রায় ৯ হাজারেরও বেশি সৈন্য ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে অবস্থান করছে বলে অভিযোগ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কা।

এই সৈন্য প্রত্যাহার করে নেবার জন্য এবং বেলারুশে কিছুদিন আগে স্বাক্ষর করা মিনস্ক চুক্তি মেনে চলার জন্য রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মি. পোরোশেঙ্কো।
সুইজারল্যান্ডের দাভোস-এ ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের এক সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি এইসব কথা বলেন।

তবে, ইউক্রেনে অস্ত্র ও সৈন্য পাঠানোর এই অভিযোগ এখনো অস্বীকার করছে রাশিয়া।

দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই সংকট সমাধানের জন্য বার্লিনে একটি বৈঠক বসতে যাচ্ছে। সেখানে ইউক্রেন, রাশিয়া, ফ্রান্স ও জার্মানি’র প্রতিনিধিরা যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি- ফেদেরিকা মোগেরিনি-কে নিয়ে ওয়াশিংটনে যৌথভাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ইউক্রেনে যা করছে সেটি আসলে ভূমি দখল।

কেরি এখানে বলছেন, ইউক্রেন পরিস্থিতি আমরা আজকে আবার পর্যালোচনা করলাম। মিনস্ক চুক্তি, যেটিতে রাশিয়া স্বাক্ষর করেছিল, যেটি মেনে চলবে বলে বলেছিল, সেটি অনুযায়ী যেনো রাশিয়া কাজ করে তার জন্য রাশিয়ার ওপরে চাপ জারি রাখার বিষয়টিও পর্যালোচনায় এসেছে।

ইউক্রেনে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন শুরু হবার পর থেকে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে অন্তত চার হাজার ৮০০ জন।

এছাড়া গত এপ্রিলে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা লুহআনস্ক ও দোনেৎস্ক-এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেবার পর সেখান থেকে নিজের বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন অন্তত ১২ লাখ মানুষ। -বিবিসি

আন্তর্জাতিক