বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এখন জনসাধারণের কাছে আতঙ্ক ও ভয়ের নেত্রী হিসেবে পরিণত হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘অযৌক্তিক হরতাল ওঅবরোধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন’ শীর্ষক এই মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে পাঠিয়ে উপহাস করা হয়েছে বলে মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, “যারা হরতাল-অবরোধের নামে চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে মারছে, সেসব দূষ্কৃতিকারীর পৃষ্ঠপোষকই খালেদা জিয়া। তিনি আবার মাহবুবুর রহমানকে বার্ন ইউনিটে রোগীদের দেখতে পাঠিয়ে নতুন ভণ্ডামি শুরু করেছেন।”
ভবিষ্যতে বিএনপি নেতারা সেখানে গেলে ডাক্তারদের প্রতিহত করার আহ্বান জানান তিনি।
আত্মরক্ষার্থে কোনো দুষ্কৃতিকারীকে হত্যা করলে আইনের ব্যত্যয় ঘটে না মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, “যারা রাজপথে সহিংসতা চালাচ্ছে, যাদের হাত থেকে শিশু, নারী, বৃদ্ধরাও রেহাই পাচ্ছে না। তাদের হাত থেকে মানুষ আজ বাঁচতে চায়। তাদেরকে প্রতিহত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহীনি আইনের আওতায় এনে বিচার করবে এবং প্রয়োজনে গুলি চালাবে এটাই জনগণ প্রত্যাশা করে।”
তিনি আরো বলেন, “দেশে এখন ডাকাত পড়েছে, ডাকাত তাড়াতে হবে। কোনো ডাকাতের সঙ্গে সংলাপের প্রশ্নই আসে না। ডাকাত আর হত্যাকারীদের তাড়াতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠেই থাকতে হবে।”
এ সময় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেন, “খালেদা জিয়া অবরোধ ডেকে কার্যালয়ে বসে বোমা তৈরি করে সরাদেশের সন্ত্রাসী বাহিনীর কাছে সরবরাহ করেছেন। সারা বিশ্বের রাষ্ট্রনায়করা যখন শেখ হাসিনা সরকারের সফলতায় প্রসংসায় পঞ্চমুখ তখনই অরোধ ডেকে বাংলাদেশের মানুষের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। সরকারের সফলতায় ব্যঘাত ঘটাতে চাচ্ছে।”
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা হাসিবুল রহমান মানিক, সভাপতি মোহাম্মদ জিন্নাত আলী খান, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।