নগ্নতাবাদীরা বিশ্বাস করেন মানবদেহ কাপড়ের আড়ালে ঢেকে রাখার জন্য সৃষ্টি হয়নি। আর এ বিশ্বাস থেকেই তারা জীবন যাপন করেন নগ্ন হয়ে। কাজেই এটা আশ্চর্যের কিছু নয় যে, কিছু নগ্নতাবাদী তাদের জীবনের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ দিন- বিয়ের দিনটিতে গায়ে কিছু চাপিয়ে থাকতে চাইবেন না। বৃটেনের নগ্নতাবাদী যে গোষ্ঠী রয়েছে তাদেরকে সাধারণত স্বাচ্ছন্দেই থাকতে দেয় বাকিরা। তাদের জন্য সুসংবাদ হলো, এ সপ্তাহে বৃটেনের মন্ত্রীপরিষদ বিয়ের আইন সংস্কার শুরু করবে। এতে নগ্ন বিয়ে অনুমোদন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হাফিংটন পোস্ট ও ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়। পরশু আইনমন্ত্রী ক্রিস গ্রেলিং নিশ্চিত করেছেন যে, বৃটেনে বিয়ে আইন সংস্কারের সমর্থনে যেসব সংগঠন রয়েছে তার মধ্যে একটি হলো ‘বৃটিশ ন্যাচারিজম’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। সংগঠনটির লক্ষ্য জনসমক্ষে নগ্নতা নিয়ে পূর্ব সংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াই। ২০১৩ সালে বৃটেনে সমকামী বিয়ে বৈধ করা হয় যে আইনের মাধ্যমে সেখানে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়, দেশব্যাপী কিভাবে বিয়ে পরিচালিত হয়ে থাকে সে দিকেও নজর দেয়া হবে। আর তা নিয়েই এ সপ্তাহে পর্যালোচনায় বসবেন মন্ত্রিপরিষদ। এতে তারা বিবেচনায় রাখবেন কোথায় কোথায় বিয়ে হতে পারে এবং বিয়ের অনুষ্ঠান কে পরিচালনা করতে পারবেন ইত্যাদি। বর্তমান আইন অনুযায়ী, দম্পতিরা শুধু চার্চ, নিবন্ধন কার্যালয় এবং অন্য অনুমোদিত প্রাঙ্গণে বিয়ে করতে পারবেন। নতুন পর্যালোচনায় বিবেচনায় রাখা হবে অধার্মিক প্রতিষ্ঠান, যেমন ন্যাচারিস্টরা বিয়ে পরিচালনা করতে পারবেন কিনা। এতে আরও আলোচনা করা হবে উন্মুক্ত স্থানে বা কারো বাড়িতে ও বাগানে বিয়ের অনুষ্ঠান করা যাবে কি না। বর্তমানে বাসাবাড়িতে বিয়ের অনুমোদন আছে শুধু যদি কোন ব্যক্তি গুরুতর অসুস্থ হন। ম্যারেজ ফাউন্ডেশনের হ্যারি বেনসন মেইল অনলাইনকে বলেন, মানুষ বিমান থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে বিয়ে করলো নাকি সমুদ্রসৈকতে বিয়ে করলো তাতে আমার কোন আপত্তি নেই যতক্ষণ পর্যন্ত তা যথাযথভাবে নিবন্ধিত না হচ্ছে। এদিকে দ্য ওয়েডিং ফেইরি খ্যাত বিয়ের অনুষ্ঠান বিশেষজ্ঞ জর্জ ওয়াটস হাফিংটন পোস্টকে জানিয়েছেন, নগ্ন বিয়ের ধারণাকে তিনি সমর্থন করেন। তিনি বলেন, বিয়েটা শেষপর্যন্ত আপনাকে নিয়ে, যেখানে আপনার আগ্রহ আর পছন্দের বিষয়গুলোর প্রতিফলন হওয়া উচিত। পরিবার ও বন্ধুদের সেখানে সমর্থন থাকা উচিত। আর এর অর্থ যদি এটা হয় যে, পোশাক পরিহার করে নগ্ন হয়ে আপনি কবুল বলবেন তবে তেমনটাই হোক। হাফিংটন পোস্টের প্রতিবেদনের শেষে বলা হয়, আমাদের মতে যদি দু’জন মানুষ একে-অন্যকে ভালবাসেন আর প্রতিশ্রুতিতে আবদ্ধ হতে চান তাহলে তারা কি পরছে আর কি পরছে না তাতে কি এসে যায়!