পার্বত্য লোকজ মেলায় আদিবাসী প্রিয়দর্শিনী প্রতিযোগিতা

পার্বত্য লোকজ মেলায় আদিবাসী প্রিয়দর্শিনী প্রতিযোগিতা

কক্সবাজারের লাবণী সি-বিচে গত ২ মার্চ শুক্রবার অনুষ্ঠিত হলো জাকজমকপূর্ণ পার্বত্য লোকজ মেলা’ ২০১২। মেলাটি যৌথভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ও চ্যানেল আই। এবারের পার্বত্য মেলা উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান। এসময় মন্ত্রী, কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিকমানের পর্যটন কেন্দ্রে রূপ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

মেলার বিশেষ আকর্ষণ ছিল পার্বত্য নৃগোষ্ঠির তরুণীদের অংশগ্রহণে প্রিয়দর্শিনী প্রতিযোগিতা। ১১ জন প্রতিযোগী তাদের বিভিন্ন পাারফমেন্সের ভিত্তিতে নিজের যৌগ্যতাকে বিচারকদের সামনে উপস্থাপন করেন। প্রিয়দর্শিনী প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন চিত্রতারকা মৌসুমী, রন্ধনশিল্পী কেকা ফেরদৌসী, সাংবাদিক আবদুর রহমান, ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন ও মডেল আজরা। বিচারকের রায়ে প্রিয়দর্শিনী নির্বাচিত হয়েছেন মনিপুরী খাসিয়া নৃগোষ্ঠির সদস্য বিপা মুখার্জি। দ্বিতীয় হয়েছেন রাখাইন নৃগোষ্ঠির সদস্য মামাট ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন শ্রাবন্তী ত্রিপুরা। উপহার হিসেবে তারা পেয়েছেন যথাক্রমে নগদ ২৫ হাজার, ১৫ হাজার ও ১০ টাকাসহ কিউট ও অন্যন্যা প্রতিষ্ঠানের সৌজন্যে অসংখ্য পুরস্কার। বিজয়ীকে মুকুট পরিয়ে দেন গত বছরের প্রিয়দর্শিনী টমে র্প্র মারমা। স্লাশ ও অন্যান্য উপহার তুলে দেন শাইখ সিরাজ, জহির উদ্দিন মাহমুদ মামুন, মুক্তিত মজুমদার বাবু, আবদুর রহমান ও মৌসুমী।

এর আগে উদ্বোধনী পর্বের পর পরই ১২টি পার্বত্য নৃগোষ্ঠিকে নিয়ে চ্যানেল আই নির্মিত তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পার্বত্য নৃগোষ্ঠির নাচ-গান আর গোধূলী আলোর সৌন্দর্য্যে প্রাণের আনন্দে মেতে উঠে পার্বত্যবাসী ও কক্সবাজারে আগত হাজার হাজার পর্যটক। এসময় পর্যটকরা বিশেষভাবে উপভোগ করেন নৃগোষ্ঠির সাথে একটি বাঁশ নৃত্যে পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজের অংশ নেওয়া।

পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত নৃগোষ্ঠির অংশগ্রহণে মেলাটি অনুষ্ঠিত হলো ৪র্থবার। এবারের মেলার প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিল প্রসাধনী প্রতিষ্ঠান কিউট। মেলা উপস্থাপনা করেন অপু মাহফুজ ও ফারজানা ব্রাউনিয়া। মেলার প্রকল্পপরিচালক ছিলেন আবদুর রহমান ও মেলা পরিচালনা করেন তাহের শিপন। রাত প্রায় ১০ টা পর্যন্তু অনুষ্ঠিত মেলাটি সরাসরি সম্প্রচার করে চ্যানেল আই।

পার্বত্য লোকজ মেলায় অংশ নেন মারমা, চাকমা, বম, ম্রো, ত্রিপুরা, মনিপুরী খাসিয়া, তঞ্চঙ্গ্যা, খেয়াং পাংখোয়া, রাখাইন ও লুসাই নৃগোষ্ঠির সদস্যরা। এসব নৃগোষ্ঠির সদস্যরা মেলায় তুলে ধরেণ তাদের কৃষ্টিকালচার। মেলায় অংশ নেয় বিভিন্ন নৃগোষ্ঠির ৩৬টা স্টল। যেখানে প্রদর্শিত হয় তাদের তৈরী বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী।

বিনোদন