বোমার কাছে গণতন্ত্র হার মানতে পারে না: সুরঞ্জিত

বোমার কাছে গণতন্ত্র হার মানতে পারে না: সুরঞ্জিত

suronjitআওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেছেন,  শুধু প্রশাসন সন্ত্রাস, বোমাবাজ, নাশকতাকারীদের পরাজিত করবে এটা ভেবে বসে থাকা ঠিক নয়। সরকার, প্রশাসন, রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি দেশের সাধারণ জনগণকে রাস্তায় নামতে হবে এদের বিরুদ্ধে। বোমার কাছে গণতন্ত্র হার মানতে পারে না।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে নৌকা সমর্থকগোষ্ঠী আয়োজিত চলমান রাজনীতি শীর্ষক এক আলোচনা সভায় সুরঞ্জিত এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ মনে করছেন সন্ত্রাস, নাশকতা, জঙ্গিবাদিদের মোকাবেলা করা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, সরকারের কাজ। আমি মনে করি এসব সন্ত্রাস বন্ধ করা গোটা জাতির কাজ। এ কাজে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ কয়েকটা ককটেল কিংবা বোমার কাছে গণতন্ত্র হার মানতে পারে না।

সুরঞ্জিত বলেন, ‘কিছু বুদ্ধিজীবী মনে করছেন এসব সন্ত্রাস, বোমাবাজি করে করে সরকারকে সংলাপে বাধ্য করা হবে। নাশকতাকারীদের সঙ্গে সংলাপ করা কোনো নীতি- নৈতিকতার মধ্যে পড়ে না। তাই আমি সেইসব বুদ্ধিজীবীদের বলবো সন্ত্রাস, নাশকতা বন্ধে কথা বলুন। এসব নাশকতার দায়-দায়িত্ব অবরোধ আহ্বানকারীদের নিতে হবে।’

সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, ‘গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে সভা-সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। তবে তা নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক নিয়ম মেনে করতে হবে। নিয়মতান্ত্রিক সভা-সমাবেশর মধ্যে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড থাকে না।’

প্রতিবারের ন্যায় আজকেও আলোচনা সভায় সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত প্রায় দেড় ঘণ্টা দেরিতে আসেন। তিনি দেরিতে আসায় কয়েকজন সংবাদকর্মী চলে যান। এছাড়া অনেকে অথিতির অপেক্ষায় বসে থেকে ঘুমিয়ে পড়েন আলোচনা সভায়।

রাজনীতিতে কোমলমতি শিশুদের ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকলেও আজকের আলোচনা সভায় বেশ কয়েকজন কোমলমতি শিশুকেও দেখা যায়। এদের মধ্যে একজনের নাম হাছান। তার বাড়ি বরিশাল। সে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে।

হাছান এ প্রতিবেদকে জানায়, ঢাকার আদাবরে বোনের বাসায় বেড়াতে এসেছে। ওই এলাকার একজন তাকে একশ’ টাকা দেবে বলে এখানে নিয়ে এসেছে।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- সাম্যবাদী দলের নেতা হারুন চৌধুরী, হুমায়ুন কবির মিজি, জাকির হোসেন প্রমুখ।

রাজনীতি