বাংলাদেশে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ইন্টারনেট টেলিফোন সার্ভিস ভাইবার এবং ট্যাংগো রোববার বেশ কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিলো। নিরাপত্তার অজুহাতে এ নির্দেশ দেয়া হলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নয়। কারণ প্রযুক্তি বন্ধ করে মনিটর করাটা অসম্ভব বলেই মনে করেন তারা।
তারা বলছেন, পাকিস্তান, সৌদি আরব, তুরস্ক এবং মিশরে সাম্প্রতিক অতীতে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়নি। তরুণরা বিকল্প উপায়ে এসব অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে পারে।
এসব বিষয় নিয়ে বিবিসি বাংলার সাথে কথা বলেছেন কলম্বোভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান লার্ন এশিয়ার সিনিয়র রিসার্চ ফেলো আবু সাঈদ খান। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “বন্ধ করে দেয়ার মানেই হলো সরকার কার্যকরভাবে মনিটর করতে পারেনা। সেটা সম্ভবও নয়।”
তিনি বলেন, এ ধরনের অ্যাপ্লিকেশন্স গুলো কুটির শিল্পের মতো। যারা কোডার আছে এমন ১০/১২ জন ছাত্র যদি মনে করে অ্যাপস তৈরি করবে, সেটা তারা করেও ফেলতে পারে।”
প্রযুক্তির সক্ষমতার বিষয়ে ধারণা না থাকার কারণেই আমলাতান্ত্রিক এসব সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়া হয় উন্নয়নশীল দেশগুলোতে যাতে একেবারে সাধারণ মানুষ এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে মনে করেন আবু সাঈদ খান।
তিনি জানান, যারা একটু প্রযুক্তি সচেতন তারা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কিভাবে ব্যবহার করতে সেটা তারা জানেন।
তিনি বলেন, এটা কোনো গোপন বিষয় নয়, এটা স্বাভাবিক একটি বিষয়।
সরকারি প্রশাসনযন্ত্রে যারা আছেন তারা প্রযুক্তির বাস্তবতা নিয়ে অজ্ঞ থাকেন বলেই এ ধরনের হাস্যকর সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আবু সাঈদ খান বলেন, পৃথিবীতে এমন কোনো টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা নেই যেখানে আড়িপাতা যায় না। তবে একটি কারিগরি সক্ষমতার ওপর নির্ভর করে। তবে কোথাও কেউ বলে না কোনটায় তারা আড়ি পাতবে।
তিনি বলেন, কারো অবস্থান ট্রাকিং করতে হলে যে ডিভাইস বা যন্ত্রে কথা বলছেন সেটা ট্র্যাক করা এক ধরনের প্রযুক্তি। তবে এ ধরনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়না। পাকিস্তান, সৌদি আরব, তুরস্কে এ ধরনের অ্যাপ্লিকেশনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, “তরুণরা অত্যন্ত চালাক। জিপিএন প্যানেলিং করে সরকারের নিষেধাজ্ঞা বাইপাস করে তারা বিদেশে কথা বলে, ভাইবারে কথা বলে।” -বিবিসি