লা করুনার ঘরের মাঠে গিয়ে তাদেরকে ধুলিসাৎ করে দিল স্পেনের অন্যতম প্রধান শক্তি বার্সেলোনা৷ সৌজন্যে, লিওনেল মেসির অনবদ্য ফর্ম৷ এলএম টেনের হ্যাটট্রিকে লা করুনাকে ৪-০ হারাল বার্সা৷ মেসি ব্যালন ডি’অরের অনুষ্ঠানে এসে বলেছিলেন,‘ আগামী বছর আমি কোথায় থাকব আমি জানি না৷’ তবে তিনি বার্সায় থাক বা চেলসিতেই যাক, তিনি গোলের মধ্যেই থাকবেন তা হলফ করে বলা যায়৷
রোববার যে ফুটবল মেসি উপহার দিলেন, তা এককথায় অসাধারণ৷ প্রথমার্ধের ১০ মিনিটেই লুইস এনরিকের দলকে এগিয়ে দেন তিনি৷ ইভান র্যাকিটিকের বাড়ানো পাসে ১৫ গজ দূর থেকে মেসির পা থেকে ধেয়ে আসা মিসাইল বিপক্ষের জাল ফুঁড়ে দেয়৷ এরপর ৩৩ মিনিটে ফের ‘মেসি ম্যাজিক’৷ লুইস সুয়ারেজের পায়ে বল লেগে লাফিয়ে ওঠে৷ লাফানো বল পায়ে নিয়ে ডিফেন্ডারকে ড্রিবল করে এনরিকের দলের দু’নম্বর গোলটা করে দেন তিনি৷ প্রথমার্ধে দু’গোলে এগিয়েই মাঠ ছাড়ে মেসিরা৷ ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধেও মেসির পায়ের ঝলক অব্যহত৷ আবারও সেই র্যাকিটিক৷ তার বাড়ানো পাসে ম্যাচের ৬২ মিনিটে নতুন বছরের প্রথম ও বার্সার হয়ে ৩০ তম হ্যাটট্রিক করে ফেললেন আর্জেন্তাইন যাদুকর৷
বলাই বাহুল্য, যে ম্যাচে মেসি এই ফর্মে থাকে সে ম্যাচে বিপক্ষের ফুটবলাররা দর্শকের ভূমিকাতেই থাকেন৷ লা করুনার অবস্থা আরও করুন করে তুললেন সে দলেরই ডিফেন্ডার সিনেই৷ অ্যালভেসের বাড়ানো ক্রসে ব্যক হিল করতে গিয়ে ৮৩ মিনিটে আত্মঘাতী গোল করে বসেন সিনেই৷