‘গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে হামলার পরিকল্পনা ছিল আইএসের’

‘গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে হামলার পরিকল্পনা ছিল আইএসের’

is19দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে বিশ্ব মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করার টার্গেট নিয়েছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া বা আইএসআইএস। তারা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে কর্মী সংগ্রহের কাজও করছিল।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার শেখ নাজমুল আলম।

তিনি জানান, রোববার দিবাগত রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও খিলক্ষেত এলাকায় অভিযান চালিয়ে আইএসআইএস-এর বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়ক মো. সাখাওয়াতুল ইসলামকে আটক করতে পেরেছে। এ সময় সাখাওয়াতের তিন সহযোগীও আটক হয়। তারা হলেন, মো. আনোয়ার হোসেন ওরফে বাতেন, মো. রবিউল ইসলাম ও মো. নজরুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আটকৃতদের মধ্যে আনোয়ার এর আগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে খিলক্ষেত থানার একটি মামলায় তিন বছর জেলে ছিলেন। বর্তমানে তিনি ওই মামলায় জামিনে আছেন। দেশে জঙ্গিদের অর্থযোগানদাতাদের একজন আটক নজরুল ইসলাম।

ডিবি কর্মকর্তা শেখ নাজমুল আলম বলেন, বাংলাদেশ থেকে সদস্য সংগ্রহ এবং পাকিস্তান আইএসআইএস-এর সঙ্গে সম্পর্কের সমন্বয় করার কাজ করে আসছিল আটককৃতরা।

পুলিশের দাবি বিভিন্ন দেশে সংঘঠিত জঙ্গি যুদ্ধের ভিডিও চিত্র দেখিয়ে তরুণদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছিল জঙ্গি সংগঠনের প্রতি। এমন ভিডিও চিত্রও তাদের থেকে জব্দ করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিরা তুরস্ক, লেবানন সিরিয়া হয়ে ইরাকে যুদ্ধে কর্মী সরবরাহের কাজ করছিল।

রোববার আটককৃতদের ব্যবহৃত ল্যাপটপ, মোবাইল, সিপিইউ, চার্জার, মডেম, পেনড্রাইভসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করেছে ডিবি পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস আইনে মামলা হয়েছে। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন চাওয়া হবে। জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে আরও তথ্য পাওয়া গেলে অভিযান চালানো হবে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর