সাভার পৌর ব্যাংক কলোনি এলাকার এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এক সনাতন ধর্মের মহিলাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত যুবকের নাম হাফিজুর রহমান সোহরাব (৪৫)। সে ধামরাই উপজেলার কুটিরচর এলাকার তারু মিয়ার ছেলে এবং সে সাভার পৌর এলাকার ব্যাংক কলোনির রাজ্জাক সাহেবের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
ভুক্তভোগী মহিলা ধামরাই উপজেলার বেটুয়াইল এলাকার মধাব চক্রবর্তীর মেয়ে। সে সাভার পৌর ব্যাংক কলোনি এলাকার হক ভিলার নিচ তলার ভাড়াটিয়া।
তিনি বলেন, অভিযুক্ত হাফিজুরে সঙ্গে প্রায় এক বছর আগে আমার পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় সে আমার সঙ্গে মোবাইলে প্রেমের অভিনয় করে। এক পর্যায়ে সে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পূর্বের স্বামী সুপ্রভাত গোস্বামীর কাছ থেকে বিবাহ বিচ্ছেদ করে সাভারের ব্যাংক কলোনির একটি ভাড়া বাসায় রাখেন। এক বছরে বেশ কয়েক বার সে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক করে। সর্বশেষ গত ২৩ ডিসেম্বর রাত এগাড়টায় আমার ব্যাংক কলোনির ভাড়া বাসায় এসে আমাকে দরজা খুলতে বলে। আমি দরজা খুললে হাফিজুর ঘরে প্রবেশ করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে চায়। এক পর্যায়ে আমি বাধা দিলে হাফিজুর আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর থেকেই আমি বিয়ের জন্য তাকে চাপ দিতে থাকলে সে আমাকে বিয়ে করবে না জানিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে উপায় না দেখে গত ১৫ জানুয়ারি আমি বিয়ের দাবিতে সন্ধ্যা সাতটার হাফিজুরের ব্যাংক কলোনি ভাড়া বাসায় অবস্থান করি। এ সময় হাফিজুর আমাকে বিয়ে করবে না জানিয়ে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে এলোপাথাড়ি কিল ঘুষি মারে বাসা থেকে তাড়িয়ে দেয়।”
এ সময় অভিযোগ দায়েরে বিলম্বের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ভুক্তভোগী বলেন, “হাফিজুরের বিয়ের আশ্বাসে অভিযোগ দায়েরে দেরি হয়েছে।”
এদিকে অভিযুক্ত হাফিজের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করতে চাইলে তার মোবাইলে বন্ধ থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোতালেব মিয়া বলেন, “থানায় একটি ধর্ষণের অভিযোগ এসেছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।”