একদিনেই পাল্টে গেল অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য

একদিনেই পাল্টে গেল অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য

muhit28২৪ ঘণ্টার আগেই নিজের বক্তব্য থেকে সরে এলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এবার বললেন, এক টাকা ও দুই টাকার নোট বাজারে থাকছে। মানুষ ব্যবহার না করলে তা আপনা আপনি বাজার থেকে ওঠে যাবে।

সোমবার সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলন হলে আন্তর্জাতিক অটিজম এবং অর্থপেডিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের অর্থমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, এক ও দুই টাকার নোট এখনই উঠিয়ে দেয়া হচ্ছে না। বাজারে যেসব নোট রয়েছে সেগুলো চলতে থাকবে। এটি একটি প্রক্রিয়া। যখন সবকিছুর মূল্য পাঁচ টাকা এবং ১০ টাকায় চলে আসবে তখনই এক ও দুই টাকার নোট তুলে দেয়া হবে।

৬/৭ টাকার মতো ভাঙতি কিভাবে দেয়া হবে জানতে চাইলে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, যখন এটা কার্যকর হবে তখন এক বা দুই টাকার ভাঙতির প্রয়োজন হবে না।

এর আগে রোববার সচিবালয়ে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, সর্বনিম্ন মুদ্রা হবে ৫ টাকা। বাজারে প্রচলিত এক টাকা ও দুই টাকার মুদ্রা ও কাগুজে টাকার প্রচলন থাকবে না। প্রচলিত এই মুদ্রা বাজার থেকে উঠিয়ে নিতে প্রায় তিনশ কোটি টাকা লাগবে। এই মুদ্রা ও কাগুজে টাকা উঠিয়ে নেয়ার পর পাঁচ টাকার নতুন নোট চালু করা হবে। বর্তমানে পাঁচ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত সবই ব্যাংক নোট। আর এক ও দুই টাকা সরকারি নোট।

অর্থমন্ত্রী জানান, পুরোনো এক ও দুই টাকার নোটগুলো বাজার থেকে তুলে নিয়ে ধ্বংস করা হবে। এগুলো ধ্বংস করতে ৩০০ কোটি টাকার মতো ব্যয় হবে।

এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে সরকারের কী লাভ হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী মুদ্রাস্ফীতির কথা অস্বীকার করে জানান, সরকারের চেয়ে বেশি লাভ হবে মানুষের। অপ্রয়োজনীয় (ইউজলেস) টাকা নিয়ে মানুষকে ঘুরতে হয়।

এক টাকা দিয়ে যে চকলেট পাওয়া যায়, তাহলে কি সেটি পাওয়া যাবে না; এমন প্রশ্নের উত্তর দেন পাল্টা প্রশ্নে ‘এক টাকা-দুই টাকা দিয়ে চকলেট পাওয়া যায় নাকি?’

অর্থ মন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর এ নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তার বক্তব্য থেকে সরে এলেন।

অর্থ বাণিজ্য