সহিংসতা বন্ধ না হলে আটক হবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আগামী ২২ জানুয়ারির পর যে কোনো সময় তাকে আটক করা হতে পারে। বর্তমান সহিংস পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে সরকার হার্ডলাইনে থাকারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে অনুযায়ী আজ থেকে দেশব্যাপী যৌথবাহিনীর অভিযানে তালিকা অনুযায়ী আটক করা হবে মাঠে সক্রিয় বিএনপি-জামায়াত নেতাদের। পাশাপাশি ২০ দলীয় জোটের কেন্দ্রীয় নেতাদেরও পৃথক তালিকা করা হয়েছে। তালিকা ধরে ধরে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে সরকার। জিরো টলারেন্সে থেকেই পরিস্থিতি সামাল দিতে বাস্তবায়িত হবে সরকারের সব সিদ্ধান্ত। তবে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হলে খালেদা জিয়াকে আটকের এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে সরকার।
সরকারের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, ঢাকা মহানগরকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা হবে। ঢাকায় বিএনপি সমর্থক বেশির ভাগ কাউন্সিলর আটক হতে পারেন। এ জন্য গুলশান, লালবাগ, তেজগাঁও, মোহাম্মদপুর ও মিরপুরের কয়েকজন কাউন্সিলরের অবস্থান নিশ্চিত করতে কাজ শুরু করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা। ঢাকায় যৌথ অভিযানের প্রথম পর্যায়েই তারা আটক হবেন। এদিকে, বিএনপি চেয়াপারসনের বিরুদ্ধে বর্তমানে চলতে থাকা জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চেরিট্যাবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাও দ্রুত শেষ করার কথা ভাবা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এ মামলার সব আইনি দিক খতিয়ে দেখতে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে গ্রেফতার প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হলেও এ মুহূর্তে সারা দেশ অচল, জ্বালাও-পোড়াও এবং পুড়িয়ে মানুষ মারার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হতে পারেন বেগম খালেদা জিয়া। এ প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে গতকাল সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের কাছে স্পষ্ট করে কিছু বলতে চাননি। তবে প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘সাতদিনের মধ্যেই পরিস্থিতি পাল্টে যাবে। জনজীবন স্বাভাবিক ধারায় চলে আসবে।’