বড্ড একপেশে খেলা, একটি ম্যাচও জেতেনি নিউজিল্যান্ড। শেষ চেষ্টাও বৃথা গেছে, দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ পাঁচ উইকেটে জিতে নেওয়ায়। দেশের মাটিতে এভাবে ধবলধোলাই লজ্জায় ফেলে দিয়েছে কিউইদের।
নিউজিল্যান্ড ইনিংস:২০৬/১০ (ওভার ৪৭)
দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংস: ২০৮/৫ (ওভার ৪৩.২)
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৫ উইকেটে জয়ী
অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের মোকাবেলা করতে গলদঘর্ম হতে হয় স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে। একটা জুটিতেও শতরান হয়নি। কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমে ও জেমস ফ্রাঙ্কলিন ৮.৫ ওভার একসঙ্গে ব্যাট করে টেনেটুনে ৫৫ রান যোগ করেন পঞ্চম উইকেটে। টপ অর্ডারে কিছু রান হলেও লেজের ব্যাটসম্যানরা ইনিংসটাকে টানতেই পারেনি। ফলে ৪৭ ওভারে ২০৬ রানে অল-আউট নিউজিল্যান্ড। ব্রান্ডন ম্যাককালামের ৪৭ রানই ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। গ্র্যান্ডহোমে এবং উইলিয়ামস সমান ৩৬ রানের দুটি ইনিংস না খেলেলে প্রতিদ্বন্দ্বীতা গড়ে তোলার মতো স্কোরও হতো না।
কিউইরা অল-আউট হলেও প্রোটিয়াস পেসার ডেল স্টেইন একটি উইকেটও পাননি। সাত ওভার বল করে দুটি মেডেনসহ ২৮ রান দিয়ে উইকেট প্রাপ্তিতে শূন্য থাকলেন। আরেক পেসার মার্চেন্ট ডি ল্যাঙ্গে নয় ওভারে ৪৬ রান দিয়ে চার ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়েছেন। স্পিনার রবিন পিটারসেন নিয়েছেন দুটি উইকেট।
২০৭ রানের লক্ষ্যে প্রথম উইকেট জুটিতে হাশিম আমলা ও ওয়েন পারনেল যোগ করেন ৮০ রান। পারনেল (২৭) সাজঘরে ফিরে গেলে অ্যালবি মরকেলকে সঙ্গে নিয়ে ৫৮ রান যোগ করেন আমলা। দলের ১৩৮ রানে কাইল মিলসের বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে আমলার ব্যাট থেকে আসে ৭৬ রান।
আমলা সাজঘরে ফেরার পর দলীয় ১৫৫ রানে মাইকেল ব্যাটেসের বলে ক্যাচ দেন মরকেল (৪১)। ১৯৫ পৌঁছাতে আরো দুই উইকেট খুয়াতে হয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। সাজ ঘরে ফেরেন ফ্যাফ ডু প্লেসিস (১৯) ও জেপি ডুমিনি (২৫)। ২০৭ রানের সহজ লক্ষ্যে পৌঁছাতে আর কোন উইকেট হারাতে হয়নি সফরকারীদের।