প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা বোমা মেরে আগুন দিয়ে সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মারছে, তাদের হাত পুড়িয়ে দিয়ে বোঝাতে হবে পোড়ার কী যন্ত্রণা।
শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের (এনএসআই) কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। এনএসআই’র বহুতল বিশিষ্ট প্রধান কার্যালয় ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেই আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, কী কারণে- কোন ইস্যুতে আন্দোলন চলছে তা আমিও বুঝতে পারছি না।
শেখ হাসিনা বলেন, অন্তঃস্বত্ত্বা নারী থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, কেউই তাদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। এভাবে একটা দেশ চলতে পারে না। বিএনপি-জামায়াত জোট আন্দোলন করতে চাইলে মাঠে নেমে জনগণকে সম্পৃক্ত করে আন্দোলন করুক।
বঙ্গবন্ধু তনয়া বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যার পর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীরা বিভিন্ন সময়ে এই সংস্থাটিকে নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা স্থায়ী করার হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে। ফলে, এই সংস্থার সুনাম ও মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়। এনএসআই’র পেশাদারিত্ব দারুন হুমকির মুখে পড়ে। প্রতিষ্ঠানটি জনগণের আস্থা হারায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ বছরের স্বৈরশাসন শেষে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর আমরা এনএসআইকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ একটি পেশাদার প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার উদ্যোগ নেই। এনএসআই ফিরে পায় তার হারানো গৌরব ও জনগণের আস্থা।
এনএসআইকে শক্তিশালী করতে তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আমরা এ সংস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে এবং এর গুণগত মান বাড়াতে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করি। অবকাঠামো উন্নয়ন, যন্ত্রপাতি ও যানবাহন ক্রয়, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেই। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতায় এসে আমাদের নেওয়া কর্মসূচিগুলো বন্ধ করে দেয়।
শেখ হাসিনা আরও উল্লেখ করেন, আমরা এনএসআই’র সামর্থ্য বৃদ্ধি ও আধুনিকায়নের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করি। গত ছয় বছরে আমরা এনএসআইয়ের কাজের পরিধি ও ব্যাপ্তি বিবেচনায় এনে অনেক নতুন পদ সৃষ্টি করেছি।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিকী, এনএসআই মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শামসুল হক প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত এনএসআই সদস্য আব্দুস সাত্তারের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।