একটি শ্রমিক সংগঠনের চাঁদা দাবিকে কেন্দ্র করে শনিবার সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি হয়নি। ফলে, ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বন্দরে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভোমরা স্থল বন্দর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নামের একটি শ্রমিক সংগঠন ভারত থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাকপ্রতি ভারতীয় ৫০ রুপি হারে চাঁদা ধার্য করে।
ভারতীয় ট্রাক চালকরা এই চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে শ্রমিক সংগঠনটির নেতারা চাঁদার দাবিতে অনড় থাকে।
ফলে, চাঁদা দাবির প্রতিবাদে শনিবার সকাল থেকে ভারতীয় ট্রাক চালকরা মালবাহী ট্রাকগুলি বাংলাদেশে না এনে ভারতে দাঁড় করিয়ে রাখে। ফলে, সেখানে কমপক্ষে তিন শতাধিক ট্রাক আটকা পড়েছে।
এদিকে, পণ্য খালাস না করতে পেরে ব্যবসায়ীরাও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
এবিষয়ে শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ট্রাকপ্রতি ৫০ রুপি তারা শ্রমিকদের কল্যাণে গ্রহণ করছেন। এজন্য সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ভারতীয় শ্রমিক সংগঠনকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।’
এ ব্যাপারে ভোমরা স্থল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কাজি নওশাদ দেলওয়ার রাজু বলেন, ‘ভোমরা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে একটি চিঠি ভারতীয় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভারত থেকে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি।’
এদিকে, ভারতীয় ট্রাক থেকে ৫০ রুপি করে নেওয়ায় ভারতের ট্রাক চালকরা মালামাল আনা বন্ধ করে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপী জানান, বন্দরের এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক বসে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভারতের ঘোজাডাঙ্গা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনকে একটি যৌথ বৈঠকের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
তবে আপাতত কোনো চাঁদা নেওয়া হবেনা বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর ভারত থেকে এখনও এ বিষয়ে কোনো প্রত্যুত্তর পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, এর আগে মঙ্গলবারও একই কারণে ভোমরা বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি হয়নি।