বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে আজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে আরো একটি বর্ডার হাট বা সীমান্ত বাজার। কিন্তু এর আগে চালু হওয়া বর্ডার হাটের ব্যবসায়ীরা বলেছেন, এ ধরনের হাটে বাংলাদেশের চেয়ে ভারতীয় ব্যবসায়ীরাই বেশি লাভবান হচ্ছে। কারণ, তাদের আনা পণ্যগুলো হাটে বাংলাদেশি ক্রেতাদের কাছে বেশি বিক্রি হয়।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী এলাকায় আজ চালু হতে যাচ্ছে এ ধরনের তৃতীয় বর্ডার হাট। ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া ও ভারতে দক্ষিণ ত্রিপুরার শ্রীনগর সীমান্তে চালু হতে যাচ্ছে এই হাট।
এ রকম আরো কয়েকটি হাটের নির্মাণ কাজ চলছে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ৩ বছর আগে চালু হয় বাংলাদেশের সুনামগঞ্জে তেমনি একটি বর্ডার হাট।
এই সীমান্তে হাটে কি ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য হয়?- এমন প্রশ্নের জবাবে সুনামগঞ্জের বর্ডার হাটের একজন নিয়মিত ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক বলেন, আমরা প্লাস্টিক সামগ্রী, মেলামাইন তরকারি লুঙ্গি গামছা শাড়ি এসব বিক্রি হয়। আমি নিজে মেলামাইন সামগ্রী বিক্রি করি।
তিনি জানান, বর্ডার হাটের কার্যক্রম শুরু হয় সকাল ১০টায় এবং তা চলে একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত। তবে এ বাজারে যেতে ক্রেতা ও ব্যবসায়ী উভয়েরই এক ধরনের অনুমতি পত্র বা বিশেষ পাস এর দরকার হয়।
বাংলাদেশের দিক থেকে এ বাজারে ব্যবসা করবে এমন ২৫ জন ব্যবসায়ীকে আর ক্রেতা কার্ড দেয়া হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৫০০ জনকে। এটি ভারতের দিক থেকেও প্রায় একই ধরনের।
কতো ধরনের পণ্য নেয়া যায়, কোনো তালিকা আছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তেমনিভাবে ব্যবসায়ীদের কোনো তালিকা দেয়নি কর্তৃপক্ষ কিন্তু অনুমোদিত পণ্যগুলোর জন্য প্রত্যেকটা দোকানদার প্রায় দেড় লাখ থেকে আড়াই লাখ টাকার পর্যন্ত মালামাল নিয়ে থাকেন। তবে একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ৮ হাজার টাকার দ্রব্য কিনতে পারে।
আব্দুল মালেক জানান মাছ, মুরগী, ডিম, মাংস এসব জাতীয় জিনিস বাজারে ক্রয়-বিক্রয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
এই বাজারে ব্যবসায় লাভ কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতি হাজারে পঞ্চাশ টাকার মতো লাভ হয়। তাই এটা নির্ভর করে বাজারের ওপর। এখন আশানুরূপ লাভ হচ্ছে না কারণ দাম কমিয়ে বিক্রি করতে হয়।
সীমান্তে এ বাজারগুলো জমছে কেমন কিংবা মানুষের আগ্রহ আছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান সীমান্ত হাট জমজমাট হয় মোটামুটি। তবে ভারতের লোকজন বা ব্যবসায়ীদেরই লাভ বা ব্যবসা বেশি হয়। কারণ তাদের আনা পণ্যগুলোই বাংলাদেশের মানুষ বেশি ক্রয় করে।