ইন্দোনেশিয়ার জাভা সাগরে ডুবে যাওয়া এয়ারএশিয়া বিমানের ককপিটের ভয়েজ রেকর্ডার (সিভিআর) উদ্ধার করেছেন ডুবুরিরা। মঙ্গলবার উদ্ধার করার পর যন্ত্রটি নৌবাহিনীর একটি জাহাজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে একজন কর্মকর্তা জানান। গত মাসে ১৬২ জন যাত্রী নিয়ে ওই বিমানটি নিখোঁজ হয়।
এর আগে সোমবার ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডারটি উদ্ধার করতে সক্ষম হন ডুবুরিরা। তখন তারা ককপিট ভয়েস রেকর্ডারের সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। যদিও জলের তলা থেকে সেটি তখন তোলা সম্ভব হয়নি।
ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার এবং ককপিট ভয়েজ রেকর্ডারকে একসঙ্গে ‘ব্ল্যাক বঙ’ বলা হয়। ব্ল্যাক বঙের দুঅংশই উদ্ধার সম্ভব হওয়ার কারণে বিমানটি দুর্ঘটনার কারণ জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ডেটা রেকর্ডারে সাধারণত বিমানটির গতি, কতো উচ্চতায় উড়েছিল এমনসহ যাবতীয় টেকনিক্যাল তথ্য সংরক্ষিত থাকে।
অন্যদিকে ভয়েজ রেকর্ডারে বিমানের ককপিটে থাকা পাইলটদের কথোপকথন রেকর্ড হয়ে থাকে।
ভয়েজ রেকর্ডার উদ্ধারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দ্রুতই দেয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিবিসি জানিয়েছে, রেকর্ডারটি উদ্ধারের পর ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় নেয়া হচ্ছে, যেখানে এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বিশ্লেষণ করবেন।
গত ২৮ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার সারাবায়া থেকে ১৬২ জন যাত্রী নিয়ে এয়ার এশিয়ার সিঙ্গাপুরগামী বিমানটি নিখোঁজ হয়। বিমানটিকে শেষপর্যন্ত জাভা সাগরে খুঁজে পাওয়া গেলেও এর ধ্বংসাবশেষ এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
উদ্ধারকর্মীরা বেশ কিছু যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছেন। তবে তারা মনে করছেন, বেশিরভাগ যাত্রীর দেহাবশেষ এখনো বিমানের ফিউজেলাজে আটকা পড়ে আছে।