ফ্রান্সে জঙ্গিদের সহিংসতায় ১৭ জন নিহত হওয়ার পর এর বিরুদ্ধে এক সংহতি সমাবেশে যোগ দিতে লাখ লাখ মানুষ রাজধানী প্যারিসে জড়ো হয়েছেন। শুধুমাত্র প্যারিসেই ১৬ লাখের বেশি মানুষ সমাবেশে অংশ নিয়েছে। আর গোটা ফ্রান্স জুড়ে ৩৭ লাখের বেশি মানুষ সমাবেশ করেছে।
র্যা লিতে অংশ নেয়া অনেকের হাতে ছিল ফ্রান্সের পতাকা ও প্ল্যাকার্ড। কারো কারো প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘আমিই চার্লি, আমিই পুলিশ, আমিই ইহুদী।’
লাখ লাখ মানুষের এই অংশগ্রহণ দেখে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ অভিভূত হয়ে বলেছেন, প্যারিস আজ হয়ে উঠেছে পৃথিবীর রাজধানী।
এত বিপুল মানুষের সমাবেশ ফ্রান্সের ইতিহাসে আগে আর কখনই ঘটেনি। ফ্রান্সের ইতিহাসে এত বেশি মানুষের সমাবেশ এর আগে কখনোই ঘটেনি সমাবেশে অংশ নেয়া অনেকের হাতেই ছিল শ্লোগান লেখা প্লাকার্ড অনেকের প্লাকার্ডে লেখা ছিল, আমিও শার্লি ।
এই সমাবেশ উপলক্ষে প্যারিসে আজ ব্যাপক এবং কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের অন্তত ৪৪ জন নেতা এই সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।
ফ্রান্সের র্যা লির সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে সমাবেশ হয়েছে জার্মানির বার্লিন, স্পেনের মাদ্রিদ, যুক্তরাজ্যের লন্ডন, অ্যামেরিকার ওয়াশিংটন ডিসি, ও কানাডার মন্ট্রিয়ল-এ।
এদের মধ্যে আছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।
প্যারিসে গত বুধবার প্রথম ইসলামি চরমপন্থিরা রঙ্গ সাময়িকী শার্লি হেবডোর অফিসে হামলা চালায়। সেদিনের হামলায় নিহত হয় ১২ জন। পরের দিন গুপ্ত হামলায় নিহত হয় এক মহিলা পুলিশ।
সর্বশেষ হামলাটি চালানো হয় গত শুক্রবার প্যারিসের এক ইহুদী সুপারমার্কেটে। সেখানে একজন ইসলামি চরমপন্থি কয়েকজনকে জিম্মি করে।