আসন্ন বিশ্বকাপে ভারতের নির্বাচিত ১৫ সদস্যের দল নিয়ে মুখ খুললেন বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ টুর্নামেন্টে এই দেশকে সর্বাধিক বার নেতৃত্ব দেওয়া মুহাম্মদ আজহারউদ্দিন। প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক মনে করছেন, নির্বাচকরা যে দল বেছেছেন তাতে ভারসাম্য থাকলেও অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মাঠে বিশ্বকাপে টিম ইন্ডিয়ার বোলিং আক্রমণ চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে পারে।
বিরানব্বই থেকে টানা যে তিনটি বিশ্বকাপে আজহার ভারতের অধিনায়ক ছিলেন, তার প্রথমটা অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মাঠেই। নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই হয়তো তিনি আরও বলছেন। শুক্রবার নিজের ক্রিকেট অ্যাকাডেমি উদ্বোধন উপলক্ষে চণ্ডীগড়ে আজহার বলেছেন, “দলটায় ভারসাম্য রয়েছে ঠিকই। আমার চিন্তা কিন্তু বোলিং নিয়ে। অস্ট্রেলিয়ায় চলতি টেস্ট সিরিজে বোলাররা ভালো পারফর্ম করতে পারছে না। দ্রুত ওদের মাঠে ক্লান্ত হয়ে পড়তে দেখা যাচ্ছে।”
অবশ্য ৫১ বছরের প্রাক্তন ক্রিকেটার সঙ্গে যোগ করেন, “দেখা যাক ওই দেশে আসন্ন ত্রিদেশীয় সিরিজে বোলাররা কতটা ফিট থাকতে পারে। কতটা নিজেদের যোগ্যতা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারে। তবে অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ড কিন্তু আলাদা জায়গা। ভারতের বোলারদের প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে।”
কথা প্রসঙ্গে বিরাট কোহলির নেতৃত্ব নিয়েও নিজের মত জানান আজহার। বলে দেন, “আগ্রাসন ভালো। আমি চাই ক্রিকেটাররা তাদের খেলায় আগ্রাসী হোক। তবে ক্যাপ্টেন হিসেবে কোহলিকে আগ্রাসন একটু নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। তা হলে এক জন গ্রেট প্লেয়ারের মতো গ্রেট ক্যাপ্টেন হয়ে উঠবে কোহলি।”
আর যুবরাজ সিংহের বিশ্বকাপের দলে না থাকা? আজহার মনে করেন জাতীয় দলে নির্বাচনের ব্যাপারে নির্বাচকরা কয়েক জন সিনিয়রের উপর কিছুটা রুক্ষ আচরণই করেছেন। “শেবাগ, গম্ভীর, আরও ২-৩ জন সিনিয়র যারা বাদ পড়েছে তাদের মতো যুবরাজকেও দলে রাখাটা নির্বাচকদের জন্য কঠিন ছিল।” প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক আরও যোগ করেন, “আমার মনে হয় নির্বাচকরা বিশ্বকাপের দল বাছার ক্ষেত্রে ঘরোয়া ক্রিকেটে রঞ্জির পারফরম্যান্সকে বেশি গুরুত্ব দেয়নি। তবে তার আগে যুবরাজ আর শেবাগ যা ম্যাচ খেলেছিল তাতে ভালো পারফর্ম না করতে পারাটা ওদের বিরুদ্ধে গিয়েছে।”
এ দিকে, বিশ্বকাপের দলে জায়গা না পেলেও শেবাগ বিশ্বকাপ তাজ রক্ষার লড়াইয়ে ভারতীয় দলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। গুরগাওয়ে বিশ্বকাপের ট্রফি প্রদর্শনের অনুষ্ঠানে শেবাগ বলেন, “২০১১-র পর আবার ট্রফিটা হাতে তোলার সুযোগ পাওয়ায় দারুণ লাগছে। আমরা গতবারের চ্যাম্পিয়ন। আশা করি, এবারও ভারতই জিতবে।”