সিঙ্গাপুরে অসুস্থ মিজারুল কায়েস গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন

সিঙ্গাপুরে অসুস্থ মিজারুল কায়েস গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন

সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি  নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ পররাষ্ট্রসচিব মোহাম্মদ মিজারুল কায়েস এখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। চিকিৎসরা তাকে গভীর ঘুমের কড়া ওষুধ দিয়ে রেখেছেন।

সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সেলর মনোয়ার হোসেন শনিবার রাত বারোটায় টেলিফোনে এ তথ্য জানান।

শুক্রবার ভোরের দিকে মিজারুল কায়েসকে ঢাকা থেকে নিয়ে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মিজারুল কায়েসের শারীরিক অবস্থা বর্তমানে ‘স্থিতিশীল’ বলেও  জানান মনোয়ার হোসেন। উল্লেখ্য, মনোয়ার হোসেন নিজেও একজন চিকিৎসক।

তিনি বলেন, ‘পররাষ্ট্রসচিবকে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের তৃতীয় তলার আইসিইউতে গভীর ঘুমের ওষুধ দিয়ে রাখা হয়েছে।’

শারীরিক অবস্থার উন্নতির স্বার্থেই মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের চিকিৎসরা মিজারুল কায়েসকে ঘুমের ওষুধ প্রয়োগ করছেন বলেও তিনি জানান।

কাউন্সেলর মনোয়ার বলেন, ‘রোববারের আগে তার ব্যাপারে চিকিৎসকরা কোনো মন্তব্য করতে চাইছেন না।’

তিনি আরও বলেন, ‘ হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলেছেন, ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এ ধরনের রোগীর ক্ষেত্রে কোনও মন্তব্য করা যায় না।’

মনোয়ার বাংলানিউজকে জানান, ‘শুক্রবার ভোরে তাকে ভর্তি করার পর থেকেই তার নানা ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে স্বাস্থ্য পরীক্ষার সব রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি।’

নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত পররাষ্ট্রসচিবকে নিয়ে সিঙ্গাপুর থেকে আসা একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে ঢাকা থেকে রওনা হয়ে স্থানীয় সময় ভোরবেলা সেখানে পৌঁছে।

পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে তার স্ত্রী নাঈমা কায়েস ও বড় ভাই ইমরুল কায়েস সিঙ্গাপুর যান।

এর আগে বুধবার কায়েসকে ঢাকার সিএমএইচে ভর্তি করানো হয়। সেদিন সকালেই তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরামর্শ নিতে গেলে তাকে হাসপাতালে ভর্তির সুপারিশ করেন চিকিৎসকরা।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর ঢাকা সিএমএইচের কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মেহবুবুল হক বাংলানিউজকে জানান, শ্বাসজনিত জটিলতা ছাড়াও মিজারুল কায়েসের রক্তে কিছু অস্বাভাবিকতা দেখা যায়।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন মিজারুল কায়েস।

২০০৯ সালের ৮ জুলাই থেকে মিজারুল কায়েস পররাষ্ট্রসচিবের দায়িত্বে আছেন। এর আগে তিনি রাশিয়া ও মালদ্বীপে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার ছিলেন।

১৯৮৪ সালের ২০ মার্চ বিসিএসের মাধ্যমে কায়েস পররাষ্ট্র ক্যাডারে যোগদান করেন। যদিও পরবর্তীতে ১৯৮৯ সালে জারি করা এক অধ্যাদেশ অনুযায়ী ওই ব্যাচের কর্মকর্তারা এক বছরের জ্যেষ্ঠতা লাভ করেন।

মিজারুল কায়েসের ৫৯ বছর পূর্ণ হওয়ার কারণে ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল তার অবসরে যাওয়ার কথা। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের পছন্দে অন্য কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে ডিঙিয়ে কায়েসকে পররাষ্ট্রসচিব নিয়োগ করা হয়।

বাংলাদেশ