দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবেশেষে আটটি টিভি চ্যানেলের চূড়ান্ত অনুমোদন দিল সরকার। বুধবার বিকেলে তেরটির মধ্যে আটটির নিরাপত্তা ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে- এখন দ্রুততম সময়ের মধ্যে চ্যানেলগুলোকে পূর্ণাঙ্গ সম্প্রচারে আসতে হবে।
২০১৩ সালের নভেম্বরে সরকার ১৩টি নতুন চ্যানেলের অনুমোদন দেয়। চ্যানেলগুলো হচ্ছে- গ্রিন মাল্টিমিডিয়া লিমিটেডের গ্রিন টিভি (চেয়ারম্যান গাজী গোলাম দস্তগীর), ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের নিউজ টোয়েন্টিফোর (ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান), মিলেনিয়াম মিডিয়া লিমিটেডের তিতাস টিভি (ব্যবস্থাপনা পরিচালক ধানাদ ইসলাম দীপ্ত; সুপারিশকারী প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন তাজ), ঢাকা বাংলা মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন লিমিডেটের ঢাকা বাংলা টেলিভিশন (ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী), মিলেনিয়াম মাল্টিমিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের মিলেনিয়াম টিভি (ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূর মোহাম্মদ), নিউজ অ্যান্ড ইমেজের নিউ ভিশন টিভি (প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ আলমগীর), বারিন্দ মিডিয়া লিমিটেডের রেনেসাঁ টিভি (চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আলম এমপি), রংধনু মিডিয়া লিমিটেডের রংধনু টিভি (ব্যবস্থাপনা পরিচালক এইচ এম ইব্রাহিম; সুপারিশকারী খালিদ মাহমুদ এমপি), বিএসবি ফাউন্ডেশনের ক্যামব্রিয়ান টেলিভিশন (চেয়ারম্যান লায়ন এম কে বাশার), জাদু মিডিয়া লিমিটেডের জাদু মিডিয়া টিভি (চেয়ারম্যান আনিসুল হক), মিডিয়া বাংলাদেশ লিমিটেডের আমার গান টিভি (চেয়ারম্যান তরুণ দে), ব্রডকাস্ট ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ লিমিটেডের চ্যানেল টোয়েন্টি ওয়ান (ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন কৌশিক) এবং এটিভি লিমিটেডের এটিভি (চেয়ারম্যান আব্বাস উল্লাহ)।
অনুমোদন পেয়েও নিরাপত্তা ছাড়পত্রের আশায় চ্যানেলগুলোকে এক বছরের বেশি সময় অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে। নানা বিষয় বিবেচনায় এনে অবশেষে আপাতত আটটিকে নিরাপত্তা ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। এখন এই আটটি চ্যানেল যে কোনো সময় সম্প্রচারে যেতে পারবে। বাকি পাঁচটির ভাগ্যে কী ঘটছে তা এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি।
এদিকে, প্রথামিকভাবে অনুমোদন পাওয়া তেরটির মধ্যে কোন কোনটির চূড়ান্ত ছাড়পত্র পেয়েছে তার পুরো তালিকা না পাওয়া গেলেও বিএসবি ফাউন্ডেশনের ক্যামব্রিয়ান টেলিভিশন; ক্যাপ্টেন তাজের তিতাস টিভি এবং নূর মোহাম্মদের মিলেনিয়াম টিভি বাদ পড়েছে বলে জানা গেছে।
এরমধ্যে বাকি দু’টি চ্যানেলের নাম নিশ্চিত করে কেউ জানাতে পারেনি। এদিকে, বেশ কয়েকটি চ্যানেল কর্তৃপক্ষ তাদের অনুমোদন পাওয়ার বিষয়টি নতুনবার্তা ডটকম-এর কাছে নিশ্চিত করেছে।
প্রথামিক অনুমোদন পাওয়ার পর তেরটির মধ্যে একাধিক চ্যানেল সীমিত পরিসরে কার্যক্রম শুরু করেছিল। এরমধ্যে আনিসুল হকের যাদু এবং আব্বাসউল্লাহর এটিভি অন্যতম। এরইমধ্যে তারা এ খাতে বিপুল লগ্নী করে ফেলেছে। ধারণা করা হচ্ছে চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া আটটির মধ্যে এ দু’টিই সবার আগে পূর্ণাঙ্গ সম্প্রচারে যেতে পারবে।
এর আগে বর্তমান সরকারের প্রথম দফায় ১৮টি নতুন টেলিভিশন চ্যানেল অনুমোদন পায়। নতুন আটটিসহ এ সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ২৬টিতে।