বহুল আলোচিত ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি একরামুল হক একরাম হত্যার মূলহোতা জাহিদ হোসেন জিহাদ চৌধুরী উচ্চ আদালত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন। তবে অন্য একটি অস্ত্র মামলার আসামি হওয়ায় তার মুক্তি মেলেনি।
বুধবার বিকেল ৪টার দিকে জিহাদ চৌধুরীর জামিনের কপি ফেনী কারাগারে পৌঁছে।
এর আগে, হত বছরের ২৫ মে ফেনী পৌরসভার বারাহীপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আটকের পরদিন একরাম হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত পিস্তলটি উদ্ধার করে পুলিশ।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ আগস্ট জামিন চেয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক জিহাদ চৌধুরী। আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৯ অক্টোবর বিচারপতি সায়মা মাসুদ চৌধুরী, মাহমুদুল হক, মো. আবদুল হাফিজ ও মো. রুহুল কুদ্দসের যৌথ বেঞ্চ তার জামিন মঞ্জুর করেন।
উচ্চ আদালতের দেয়া জামিনের কপি ৩১ ডিসেম্বর ফেনীর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর মুহাম্মদ ফারুকীর আদালতে পৌঁছলে বিচারিক আদালত বুধবার বিকেলে কপিটি কারাগারে পাঠান।
ফেনী জেলা কারাগারের জেলার শঙ্কর মজুমদার জানান, জিহাদের নামে অস্ত্র মামলা থাকায় তাকে মুক্তি দেয়া যাচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, একরামকে যে জায়গায় হত্যা করা হয় একই জায়গায় ২০০০ সালে যুবলীগ নেতা বশির আহমেদকে (বইশ্যা) হত্যা করে প্রথম আলোচনায় আসেন জিহাদ চৌধুরী।
উল্লখ্য, গত বছরের ২০ মে সকাল ১১টায় একরামুল হক একরামকে ফেনী শহরের একাডেমি এলাকার বিলাসী সিনেমা হলের সামনে প্রকাশ্যে গুলি ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।