বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষায় ভারতের সহযোগিতা চেয়েছে বিএনপি। গত কয়েকদিন ধরেই দেশটিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে তীব্র সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর উপস্থিতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে বিএনপি।
ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এ সহযোগিতার আহ্বান জানান। বুধবার পত্রিকাটি এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
টেলিফোন সাক্ষাৎকারে নজরুল ইসলাম খান বলেন, “বাংলাদেশে গণতন্ত্র ব্যর্থ হলে তা দেশকে সন্ত্রাসবাদের পথে ঠেলে দেবে। আর তা ভারতের নিরাপত্তার ওপর প্রভাব ফেলবে।”
ভারতকে বন্ধু দেশ উল্লেখ করে নজরুল বলেন, “বন্ধু দেশ হিসেবে ভারতের উচিত বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানো। ভারতের পরীক্ষিত গণতন্ত্র আছে আর বাংলাদেশও প্রকৃত গণতান্ত্রিক দেশ হয়ে উঠতে চায়। গণতন্ত্রের মূল কথাই হলো অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন।”
সরকার নৃশংসভাবে বিরোধীদের দমন করছে উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, “বিএনপির আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দিতে সরকার নৃশংসভাবে শক্তি প্রয়োগ করছে। পুলিশের ছত্রছায়ায় আওয়ামী অস্ত্রধারীরা আমাদের সদস্য ও সমর্থকদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে। পার্টি অফিস পুড়িয়ে দিচ্ছে। দু হাজারের বেশি বিএনপি কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চারজন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে পাঁচ শতাধিক।”
বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, “পুলিশ খালেদা জিয়ার বাসভবনের চারপাশ ঘিরে রেখেছে। ট্রাক ও বালু দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করে রেখেছে।”-টাইমস অব ইন্ডিয়া।