‘অবরুদ্ধ’ ও অসুস্থ খালেদাকে রেখে চলে গেলেন নেত্রীরা

‘অবরুদ্ধ’ ও অসুস্থ খালেদাকে রেখে চলে গেলেন নেত্রীরা

khaledaগত চারদিন ধরে ‘অবরুদ্ধ’ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অসুস্থ অবস্থায় রেখে পুলিশের সঙ্গে ‘সমঝোতা’ করে চলে গেছেন সাবেক মহিলা এমপিরা। বুধবার ভোরে সাবেক এমপি ও মহিলা নেত্রীরা খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্যালয় থেকে বের হয়ে গেছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। যদিও অবরুদ্ধ হওয়ার পর থেকে এসব নেত্রীই ছিলেন তার পাশে।

গত শনিবার রাতে প্রতিদিনের মতো কার্যালয়ে আসেন খালেদা জিয়া। এরপর থেকে কার্যালয়ের বাইরে বিপুলসংখ্যক পুলিশের সদস্য মোতায়েন করা হয়। বালুর ট্রাক দিয়ে কার্যালয়ের বাইরের সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর থেকে এখনো কার্যালয়ের ভেতরে অবস্থান করছেন বিএনপি প্রধান। এরমধ্যে দুই দফা বের হওয়ার চেষ্টা করলেও পুলিশ তাকে বের হতে দেয়নি।

 

এদিকে অবরুদ্ধ হওয়ার সময় থেকে তার সঙ্গে ছিলেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, সাবেক এমপি আসিফা আশরাফি পাপিয়া, রাশেদা বেগম হীরা, রেহেনা আক্তার রানু, নিলোফার চৌধুরী মনি, মহিলা দলের সভানেত্রী নূরে আরা সাফা, সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, বিলকিস জাহান শিরিন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য খালেদা ইয়াসমিন, মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী সুলতানা আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমীননহ বেশ কয়েকজন মহিলা দলের নেত্রী।

খালেদা জিয়া ৫ জানুয়ারি পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে যোগ দিতে কার্যালয় থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাকে বের হতে দেয়নি। তখন ভেতরে থাকা মহিলা দলের নেত্রীরা তালাবদ্ধ গেইট খোলার জন্য ধাক্কাধাক্কি করলে পুলিশ পিপার স্প্রে করে। এতে খালেদা জিয়াসহ মহিলা নেত্রী এবং বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হন।

ইতিমধ্যে বেশ কয়েক দফায় খালেদা জিয়ার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তিনি পিপার স্প্রের কারণে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। তাকে নেবুলাইজার দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, ৫ জানুয়ারির পর খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের সামনে নিরাপত্তা কিছুটা শিথিল করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরমধ্যে বুধবার খুব ভোরে সেলিমা রহমান, শিরিন সুলতানা ছাড়া অন্য সব মহিলা নেত্রী কার্যালয় থেকে বের হয়ে গেছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের সঙ্গে ‘সমঝোতার’ মাধ্যমে তারা বের হয়ে গেছেন। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়েছে।

আবার অন্য একটি সূত্রে জানা যায়, খালেদা জিয়ার নির্দেশে সাবেক এই এমপিরা বের হয়ে গেছেন।

রাজনীতি