চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে তিন থানার পুলিশের সঙ্গে বিএনপি কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষের হয়েছে। সংঘর্ষে ২০ পুলিশ সদস্য ও গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৬০ জন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়কের এনায়েতপুরের এক কিলোমিটার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার বিকাল থেকে হাজীগঞ্জ উপজেলার চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়কের এনায়েতপুর থেকে টোরাগড় পৌর ভবন পর্যন্ত দখলে নেন অবরোধকারীরা। গত দুদিনে অবরোধকারীরা বিপুল সংখ্যক যানবাহন ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। তবে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী সেখানে থাকায় প্রথমে স্থানীয় থানাপুলিশও অভিযানে যেতে সাহস পায়নি।
পরে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে শাহরাস্তি থানা, কচুয়া থানা এবং হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ-ডিবি পুলিশ যৌথ অভিযান শুরু করে। এ সময় অবরোধকারীদের সঙ্গে ৩ ঘণ্টা দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষ হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৩২০ রাউন্ড শর্টগানের গুলি, চাইনিজ রাইফেলের ১৮ এবং ১০ রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এ ছাড়া সাউন্ড গ্রেনেডও নিক্ষেপ করা হয়।
জবাবে বিএনপি কর্মীরাও ইটপাটকেল, ককটেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে ২০ পুলিশ সদস্য আহত এবং অন্তত ৪০ বিএনপি নেতাকর্মী আহত হন।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আবুল (গিলা) বাশার দাবি করেছেন, গুলিবিদ্ধসহ ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তিনি জানান, পুলিশ ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের ভয়ে তারা আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করাতে পারছেন না।
এদিকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আনোয়ার বাবলু বলেন, আওয়ামী সন্ত্রাসী এবং পুলিশের হামলায় বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
হাজীগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার আবু হানিফ জানান, অবরোধকারীরা পুলিশের ওপর হামলার জন্য মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তিনি জানান, রাত সোয়া ১২টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিন থানার পুলিশের সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ ছাড়া চাঁদপুর থেকে অতিরিক্ত পুলিশও পাঠানো হয়।