খালেদা জিয়াকে রক্ষা করার জন্যই ৫ জানুয়ারি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, আমাদের কাছে গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট রয়েছে, খালেদা জিয়াকে হত্যা করে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অপরাজেয় বাংলা সংলগ্ন বটতলায় এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
ছাত্রলীগের ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘স্বেচ্ছায় রক্তদান’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মোহাম্মদ নাসিম।
তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। বিরোধীদলের হলেও তার কোনো ক্ষতি হলে তার দায় আমাদের ওপরই এসে পড়বে। তাকে সব ধরনের নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের কর্তব্য।
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে নাসিম বলেন, আপনি শেখ হাসিনার আহ্বানে বৈঠকে না এসে ভুল করেছেন। সেদিন প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিলে আজ আপনার এই পরিস্থিতি হতো না। আপনি বার বার শেখ হাসিনার কাছে মাঠে, নির্বাচনে ও কৌশলে পরাজিত হয়েছেন। এখন আপনি আর কী করবেন?
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া আপনার সব শক্তি শেষ হয়ে গেছে। এখন আপনি যা করছেন তা শুধুই আর্তনাদ। আপনাকে দেখে আমার কষ্ট হয়। একজন সেনাপ্রধান তখনই মাঠে নেমে আসে যখন তার সকলকর্মী মরে যায়। আপনরাও তাই হয়েছে বেগম জিয়া। আপনার সব কর্মী আজ মারা গেছে। শুধু আপনিই অবশিষ্ট আছেন। আমাদের কর্মীরা মার খেলেও রাস্তায় থাকে। আর আপনার কর্মীরা কিছু হলেই প্যান্ট খুলে পালিয়ে যায়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া আপনি রাগ করবেন না। বয়স হলেও আপনাকে দেখতে খুব সুন্দর লাগে।
২০১৯ সালের নির্বাচন হবেই হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেউ এই নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না। আর সেই নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনেই হবে।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা সঠিক সিদ্ধান্ত। একজন জাতির জনককে নিয়ে কটাক্ষ কখনোই সহ্য করা যায় না। পৃথিবীর এমন কোনো দেশ নেই যেখানে জাতির জনককে নিয়ে এভাবে কটাক্ষ হয়। আর লন্ডনে বসে আমাদের দেশের একজন বেয়াদব এ কাজটি করছে। যতক্ষণ পর্যন্ত তারেক জিয়া বক্তব্যের ক্ষমা না চাইবে ততক্ষণ বেগম জিয়া আপনাকে দেশের কোথাও সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না।
ছাত্রলীগের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগের সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসেোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সনাল, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুজ্জামান শিখর, এ কে এম এনামুল হক শামীম, মাহমুদ হাসান রিপনসহ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয়, ঢাবি ও বিভিন্ন কলেজের নেতাকর্মীরা।