জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উপদেষ্টা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ঔপনিবেশিক আমলের সেই হরতাল-অবরোধের মতো নেতিবাচক অপরাজনীতি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। অপরদিকে সরকারও অসহিষ্ণু হয়ে বিরোধী পক্ষের ওপর মারমুখী আচরণ চালাতে শুরু করেছে। এর ফলে জনমনে চরম আতঙ্ক-অনিশ্চয়তা নেমে আসছে।
মঙ্গলবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এরশাদ এসব কথা বলেন।
“এই অবস্থায় একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ চলতে পারেনা এবং সংঘাত ও গণতন্ত্রও একসাথে চলতে পারেনা। সংঘাতের রাজনীতির কারণে গণতন্ত্র এখন বিপন্ন হয়ে পড়ছে। এই কারণে ইতিমধ্যে অনেক প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে গেছে। এ ধরনের ঘটনায় আমি দুঃখিত ও মর্মাহত” বলেন এরশাদ।
সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, “৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনকারীরা সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে জনগণকে জিম্মি করার মতো কর্মসূচি গ্রহণ করছে। অপরদিকে সরকারও প্রতিপক্ষকে দমনের নামে আগ্রাসীদের মতো ভূমিকা পালন করছে। আমরা এর কোনোটাকেই মেনে নিতে পারি না। দেশবাসী শান্তি চায়, নিরাপত্তা চায় এবং তারা দেশে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ দেখতে চায়।”
এরশাদ মনে করেন জনগণের স্বার্থের কথা চিন্তা করে উভয় পক্ষকেই নমনীয় এবং শান্ত থাকতে হবে। সব দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা মাধ্যমে সংকট নিরসনে শান্তিপূর্ণ পন্থা অবলম্বন করতে হবে। প্রতিবাদের ভাষা পরিবর্তন করতে হবে।
তিনি বলেন, “আমি ১ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশেই আশংকা করেছিলাম যে, ৫ জানুয়ারিকে কেন্দ্র করে দেশে আবার সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। আমার সেই আশংকাই সত্য প্রমাণিত হয়েছে।”
দেশের চলমান সংকট নিরসনে এক টেবিলে আলোচনায় বসতে সব দলের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান এরশাদ।