বিএনপি চেয়ারপারসনের পাশাপাশি অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও। তিনি গতকাল সেমবার বিকাল থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভেতর অবস্থান করছেন। আর বাইরে প্রেসক্লাবের তিনটি গেটেই অবস্থান নিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশসহ আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
মির্জা আলমগীরের সঙ্গে বিএনপিপন্থী পেশাজীবী পরিষদের কয়েকজন নেতা রয়েছেন। তিনি প্রেসক্লাব থেকে বের হলেই তাকে গ্রেফতার করা হতে পারে জানিয়েছেন দায়িত্বরত এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
সোমবার বিকাল ৪টায় বিএনপিপন্থী পেশাজীবীদের অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে তিনি প্রেস ক্লাবে প্রবেশ করেন। এরপর থেকে প্রেস ক্লাবের তিনটি গেটে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তিনটি টিম অবস্থান নেয়। সেখানে প্রস্তুত রাখা হয়েছে তিনটি মাইক্রোবাস। প্রেস ক্লাব ও আশপাশের এলাকায় বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
মির্জা আলমগীর প্রেস ক্লাবের দোতলায় ভিআইপি গেস্ট রুমে অবস্থান করছেন। সেখানেই তিনি রাত্রি যাপন করেন। তার সঙ্গে জাগপা প্রধান শফিউল আলম প্রধান, পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী, বিএফইউজের সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ, মহাসচিব এম এ আজিজ, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, ডিইউজের সভাপতি কবি আবদুল হাই সিকদার, পেশাজীবী পরিষদের নেতা আ ন হ আকতার হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দলের নেত্রী শ্যামা ওবায়েদসহ বিএনপিপন্থী পেশাজীবীদের বেশ কয়েকজন নেতা রয়েছেন।
মঙ্গলবার সকাল থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের প্রধান ফটকসহ অন্য দুটি গেইটে পুলিশি প্রহরা জোরদার রয়েছে। এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হল তার ব্যক্তিগত সহকারী ইউনুস বলেন, স্যার আলাদা করে কোনো মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলবেন না। সবার সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলবেন।
এ ব্যাপারে শফিউল আলম প্রধান বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার পর প্রেস ক্লাব থেকে বের হব আমরা।
এদিকে মির্জা আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে বের হওয়ার পর পরই তাকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে গোয়েন্দা সংস্থার এক সদস্য জানিয়েছেন।