দেশে এখন মধ্যবর্তী নির্বাচনের পরিস্থিতি নেই। জনগণ এ মুহূর্তে নির্বাচন চায় না বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ।
আজ সোমবার নির্বাচনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে সংসদ ভবনের মিডিয়া সেন্টারে জাতীয় পার্টির করা সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রওশন বলেন, এখন দেশের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করতে হবে। বিএনপি যে আন্দোলন করছে, তা তাদের নেতা-কর্মীরা করছেন। তাঁদের সঙ্গে জনগণ নেই।
দেশে এখন শান্তি বিরাজ করছে—এমনটা দাবি করে রওশন বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করা হলে বিদেশি বিনিয়োগ বন্ধ হয়ে যাবে। চীন, জাপান বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে এসেছে, তারা পিছিয়ে যাবে। এতে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে।
রওশনের ভাষ্য, জাতীয় পার্টির যেসব মন্ত্রী আছেন, তাঁদের মন্ত্রিপরিষদ থেকে বের করে আনা হবে। এ ব্যাপারে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
রওশনের দাবি, ৫ জানুয়ারি নির্বাচন না হলে অসাংবিধানিক সরকার ক্ষমতায় আসত। এতে দেশের জন্য ভালো হতো না। গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখতেই জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে।
নির্বাচনের পর দেশে শান্তি ফিরে এসেছে—এমনটা দাবি করে রওশন বলেন, অর্থনীতি, সামাজিক সূচকে দেশের উন্নতি হয়েছে। এখন জনমতে স্বস্তি আছে।
নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি ভুল করেছে—এমনটা দাবি করে রওশন বলেন, নির্বাচনে গেলে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারত।
‘আমরা রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা চাই না, দেশের উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চাই’—এমনটা উল্লেখ করে রওশন বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রাকৃতিক দুর্যোগের চেয়ে খারাপ। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসলে বাংলাদেশ সোনার দেশ হবে।
খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করা নিয়ে বিরোধীদলীয় নেত্রী বলেন, ‘সরকার বলেছে নিরাপত্তার জন্য এটা করেছে। সে ক্ষেত্রে আমাদের বলার কিছু নেই। তবে অগণতান্ত্রিক কারণে খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করা হলে আমরা তা সমর্থন করি না।’ বালির ট্রাক কেন দেওয়া হয়েছে, তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বুঝবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।