রাজধানীর নয়াপল্টনে ‘গণতন্ত্রের মুক্তির’ স্লোগান দিতে এসে পুলিশের হাতে আটক হলেন এক প্রতিবন্ধী যুব্ক (২২)।
সোমবার সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে তাকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ।
এ যেন আরেক নূর হোসেন। ১৯৯০ সালে তৎকালীন স্বৈরাচার এরশাদ সমকারের আমলে একইভাবে বুকে পিঠে এই স্লোগান লিখে মিছিলে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছিলেন নুর হোসেন।
সোমবার সকাল সোয়া নয়টার দিকে নয়াপল্টনের একটি গলি থেকে হঠাৎ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এসে দাঁড়ান দেলোয়ার নামে ওই শারীরিক প্রতিবন্ধী। তার বুকে ও পিঠে লেখা ছিল ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ স্লোগান। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়।
এসময় তিনি বলেন, আমিতো কোনো সংহিংসতা করতে আসিনি। আমি একা এসেছি। আমার অধিকার আছে প্রতিবাদ জানানোর। আপনারা আমার অধিকারটুকু কেন কেড়ে নিচ্ছেন।
কিন্তু কে শোনে কার কথা। তার গণতন্ত্র মুক্তি পাক স্লোগান মুক্তির বদলে হয়ে পড়লো বন্দি। একজন প্রতিবন্ধীর প্রতিবাদের ভাষাটুকুও কেড়ে নিল পুলিশ।
দেলোয়ারকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকরা এর কারণ জানতে চাইলে পুলিশ কোনো কথা বলেনি। শুধু প্রতিবন্ধী যুবকটিকে বলে, চলো, থানায় গিয়ে তোমার কথা শুনব।
উল্লেখ্য, ৫ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। একইদিন আওয়ামী লীগও ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ পালন করতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। দু’দলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির প্রেক্ষিতে পুলিশ রোববার থেকে রাজধানীতে সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে।
এদিকে শনিবার রাত থেকেই গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবরুদ্ধ রয়েছেন খালেদা জিয়া। সরকার ও পুলিশের এসব অগণতান্ত্রিক আচরণের প্রতিবাদ জানাতে এসেছিলেন প্রতিবন্ধী দেলোয়ার।