দেশকে দু’বার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করেছেন৷ তার নেতৃত্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সাতের দশকের শেষ থেকে এক যুগ বিশ্বক্রিকেট শাসন করেছে৷ এখন সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটই অস্তিত্বের সঙ্কটে৷ রাগে ফুঁসছেন ক্লাইভ লয়েড।
কেপ টাউনে অ্যানুয়াল নিউ ইয়ার্স লেকচারে লয়েডের বক্তব্য, টোয়েন্টি ২০ ক্রিকেটই তার দেশের ক্রিকেটকে শেষ করে দিয়েছে৷ আর একই সঙ্গে তিনি প্রবল ক্ষুব্ধ ভারতের ওপর৷ নাম না করেই বুঝিয়ে দিলেন, শ্রীনিবাসনদের প্রবল আর্থিক দাপটেই ধুঁকছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেট৷ গত বছর আই সি সি-র খোলনলচে বদলে ফেলে ঠিক করা হয়েছে, আর্থিক ক্ষমতা ভারত, ইংল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়ার হাতেই কুক্ষিগত থাকবে৷ মূলত শ্রীনিবাসনদের চাপেই অন্য দেশের বোর্ড এটা মেনে নিতে বাধ্য হয়৷ এতে প্রবল আপত্তি লয়েডের৷ বলেন, ‘মানছি আই সি সি-কে শক্তিশালী হতে হবে৷ ফিফা, আই ও সি যেরকম শক্তিশালী, ততটাই ক্ষমতাবান হতে হবে আই সি সি-কে৷ কিন্তু কখনও কি শোনা গেছে, ইতালি বা ইংল্যান্ড বা ফ্রান্স বলছে তারা খেলবে না? অথচ এখানে একটি দল (ভারত) দিনের পর দিন ডি আর এস (ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম) ছাড়া খেলে যাচ্ছে৷ শুধু তিনটি দেশ বিশ্বক্রিকেটে ছড়ি ঘোরাবে, এটা হতে পারে না৷ ক্রিকেটটা আই সি সি-র চালানো উচিত৷
আলাদা করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কথা তুলে ধরে লয়েড বলেন, ‘এখন আমাদের ক্রিকেটারদের হাতে এত বেশি টাকা এসে গেছে যে, টেস্ট না খেলেও ওদের দিব্যি চলে যাচ্ছে৷ আমাদের ছোট দেশ৷ একটু টাকাপয়সা করতে পারলেই রাজা৷ এই টি ২০-ই আমাদের ক্রিকেটের সর্বনাশ করে দিয়েছে৷’ উদাহরণ দিয়েছেন আন্দ্রে রাসেলের৷ বলেন, ‘মাস কয়েক আগের কথা৷ ওকে বলেছিলাম, তুমি যেকোনো সময়ে টেস্ট দলে ঢুকে পড়তে পারো, কারণ বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার হওয়ার যোগ্যতা তোমার আছে৷ সপ্তাহ দুয়েক পরে এসে ও আমাকে বলল, হাঁটুতে লেগেছে, ওয়ান ডে খেলতে পারবে না৷ এ-ই তো অবস্হা!’