৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি না আসায় বেগম খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “তিনি (খালেদা জিয়া) কী আশায় বুক বেঁধেছেন জানি না। নির্বাচনে না এসে নির্বাচন বানচাল করে তিনি দেশকে কোন পথে নিতে চেয়েছিলেন। নির্বাচন ঠেকানোর নামে মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছেন। এর চেয়ে জঘন্য কাজ আর কী হতে পারে।”
রোববার আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দেয়া বক্তৃতায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। ছাত্রলীগের ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের নেতাকর্মীরা রোববার সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার আসবে, এটাই নিয়ম। আমরা সেটা রক্ষা করেছি।”
শেখ হাসিনা বলেন, “আজকে দু-চারজন মানুষ খুন করে সরকার হটানো যায়? এসব পথ পরিহার করুন। পাঁচ বছর দেশ চালিয়েছি। উন্নতি করেছি। উনি (খালেদা) এটা দেখবেন না। আয়নায় ওনার চেহারা দেখেন, উন্নতি দেখেন না।”
বিএনপির আমলের চেয়ে তার সরকারের পার্থক্য করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যে উন্নয়ন আমরা করেতে পেরেছি, আমাদের ও তাদের উন্নয়নে আকাশ-পাতাল তফাত। বিএনপির আমলের চেয়ে আমাদের আমলে অর্থনীতি দ্বিগুণের বেশি উন্নত হয়েছে। এখন একজন দিনমজুর তার দৈনিকের আয় দিয়ে ১০-১২ কেজি চাল কেনার পরও তার হাতে অন্য কাজের জন্য টাকা থাকে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কোনো জামানত ছাড়া আমরা ব্যাংক ঋণ দিচ্ছি। বিদেশে যাওয়ার সময় এখন আর জমিজমা বিক্রি করতে হয় না। গ্রামের মানুষের সঞ্চয়ে আমরা সাহায্য করছি।”
ছাত্রলীগের হাতে কাগজ-কলম তুলে দিয়েছেন উল্লেখ করে প্রধনিমন্ত্রী শিক্ষার উন্নয়নে তার সরকারের নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “দরিদ্র মাদের ভাতা দেয়া শুরু করেছি, যাতে প্রতিটি মা তার ছেলেকে স্কুলে পাঠাতে পারে। বিনা পয়সায় বই দিচ্ছি। আমি জানি না, পৃথিবীতে আর কোনো দেশ এমন আছে কি না।
তিনি বলেন, “মেধাবীদের বৃত্তির ব্যবস্থা করেছি। তবে একটু পার্শিয়ালিটি করেছি, ৭৫ ভাগ মেয়েদের দিচ্ছি। এক কোটির ওপর ছাত্রছাত্রী বৃত্তি পাচ্ছে। আমার উদ্দেশ্য হলো সবাই শিক্ষা গ্রহণ করুক।”