প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করলে করতে পারেন। তা না হলে জবাব পাবেন। কর্মসূচির নামে কোনো দুরভিসন্ধি থাকলে সরকার তার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। তা না হলে আপনারা রোডমার্চের নামে কার শো করতে পারতেন না’।
শুক্রবার রাতে আওয়ামী লীগের যৌথ সভায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘আন্দোলনের নামে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা কঠোরভাবে দমন করা হবে। সরকারের দায়িত্ব জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া’।
তিনি সতর্কতা উচ্চারণ করে বলেন, ‘১২ মার্চের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের দুরভিসন্ধি করলে আমরা আগে থেকেই তা জানতে পারবো। সে অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
১২ মার্চের কর্মসূচির উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মার্চ মাস স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের মাস । এই মাসে বিরোধী নেত্রী রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতা বিরোধীদের রক্ষার জন্য মাঠে নেমেছেন।’
তিনি বিরোধী দলীয় নেত্রীর প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘তিনি মার্চ মাসকে কেন টার্গেট করলেন?’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘বিরোধী দলীয় নেত্রী যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার জন্য মার্চ মাসকে বেছে নিয়েছেন। এজন্য সকলকে সর্তক থাকতে হবে। গত ১৮ ডিসেম্বরেও তিনি মুক্তিযুদ্ধের শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করতে বোমাবাজি শুরু করেছিলেন। এই ঘটনা বিএনপির স্বাধীনতার পক্ষের নেতারাও জানতেন না।’
প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রীয় বাসভবন গণভবনে শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদ, ঢাকা মহানগরীর অন্তর্গত সব থানা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের কেন্দ্রীয় এবং মহানগর ঢাকা মহানগরীর অন্তর্গত সব থানার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, জেলা পরিষদের প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট জেলাসমূহের দলীয় সংসদ সদস্যরা এ যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন।