বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদের রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসিকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত করে সৌদি আরবে পাঠাচ্ছে সরকার।
তার নিয়োগের বিষয়টি জানিয়ে শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, মসি বাংলাদেশের ‘একজন সুপরিচিত’ রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী, তেল-গ্যাস নিয়ে যার ‘বিস্তর অভিজ্ঞতা’ রয়েছে।
তেলসমৃদ্ধ সৌদি আরব বাংলাদেশের জন্য খুবই খুবরুত্বপূর্ণ, কেননা মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটিই বাংলাদেশের জনশক্তির সবচেয়ে বড় গন্তব্য।
সেখানে বাংলাদেশ দূতাবাসে শহীদুল ইসলামের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন গোলাম মসি। সরকার সম্প্রতি শহীদুলকে মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিলে পদটি শূন্য হয়।
জাতীয় পার্টির সাবেক আন্তর্জাতিক ও কূটনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক গোলাম মসি আশির দশকে ব্রিটিশ পেট্রোলিয়াম কোম্পানির আইন বিভাগে কাজ করেছেন। এছাড়া ব্রিটিশ গ্যাস, ফ্রান্সের টোটাল অয়েল, হংকং টেলিকম, যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল অটোমিক, এশিয়া স্যাটেলাইটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তিনি উপদেষ্টা হিসাবে ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনের ডিগ্রি নেওয়া গোলাম মসিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে একজন ‘ভ্রমণপ্রিয় ও বিদ্বান ব্যক্তি’ হিসাবেও উল্লেখ করা হয়েছে।
আশির দশকে লন্ডনে থাকা অবস্থায় গোলাম মসি যখন জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন, দলের চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ তখন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি।
এরশাদ ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে মসিকে দল থেকে বহিষ্কার করলে তিনি জাতীয় পার্টির আরেক বহিষ্কৃত নেতা কাজী জাফর আহমেদের সঙ্গে যোগ দেন। বিরোধী দলীয় নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর রওশন তাকে ফিরিয়ে এনে রাজনৈতিক সচিব করেন।
বর্তমানে বিরোধী দলে থাকা জাতীয় পার্টির তিন নেতা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে আছেন। আর পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ আছেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতের দায়িত্বে।