যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোতে ১২ জনের মৃত্যু

যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোতে ১২ জনের মৃত্যু

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে তিন দিন ধরে দফায় দফায় বয়ে যাওয়া টর্নেডোতে কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যু এবং দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে।
গত মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া এ ঝড়ে হতাহতের পাশাপাশি ইলিনয়, মিসৌরি ও ক্যানসাস অঙ্গরাজ্যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিরও খবর পাওয়া গেছে। টেনিসি থেকে আলাবামা পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর জানায়, প্রাথমিকভাবে টর্নেডোর সাতটি অঙ্গরাজ্যে আঘাত হানার খবর আছে। এ সাতটি রাজ্য হচ্ছে: নেব্রাস্কা, ক্যানসাস, মিসৌরি, ইলিনয়, ইন্ডিয়ানা, আলাবামা ও কেনটাকি। এসব অঞ্চলে ঝড়ের তাণ্ডবে বাড়িঘর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, বহু গাড়ি দুমড়েমুচড়ে গেছে, গাছপালা উপড়ে পড়েছে।
টর্নেডোতে ইলিনয় শহরে কমপক্ষে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘণ্টায় ২৭০ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাওয়া এ ঝড়ে এখানের ৩০০ বাড়িঘর ও ২৫টির মতো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এখানকার অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর প্রধান বিল সামারস সাংবাদিকদের বলেন, এলাকাটি যেন একটি যুদ্ধক্ষেত্র। চারদিকে তছনছ হয়ে যাওয়া বাড়িঘর। উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।
ইলিনয়ের গভর্নর প্যাট কুইন, ক্যানসাসের স্যাম ব্রাউনব্রাক ও মিসৌরির জে নিক্সন নিজ নিজ রাজ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। মিসৌরির গভর্নর নিক্সন তাঁর রাজ্যের ব্যাপক ধ্বংসস্তূপ সরাতে ন্যাশনাল গার্ডের সহযোগিতা চেয়েছেন। এখানে কমপক্ষে তিনজনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া টেনিসি অঙ্গরাজ্যে মারা যায় আরও তিনজন।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আটলান্টিক মহাসাগরের মধ্যভাগে এখন ঝোড়ো হাওয়াটি কেন্দ্রীভূত আছে। গতিপথ পরিবর্তন করে আবার উপকূলে আঘাত হানবে কি না, বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে নিবিড়ভাবে। ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলোতে উদ্ধারকাজ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ন্যাশনাল গার্ড পাঠানো হয়েছে। গত বছরও দেশটিতে টর্নেডোর আঘাতে ৫৪৫ জনের মৃত্যু হয়।

আন্তর্জাতিক