দেশের একমাত্র ইলেকট্রনিক্স ও অটোমোবাইল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন হাইটেক ইন্ড্রাস্টিজ লিমিটেড অভ্যন্তরীণ ফ্রিজের চাহিদা পূরণ করতে যাচ্ছে। পাশাপাশি বিদেশে রফতানি বাড়াবে। বর্তমানে দেশে বাৎসরিক ফ্রিজের চাহিদা রয়েছে প্রায় দশ লাখ। ওয়ালটনের উৎপাদন ক্ষমতা ৮ লাখ। আগামী এপ্রিল থেকে ওয়ালটনের উৎপাদন গিয়ে দাঁড়াবে ১৪ লাখ। অর্থাৎ বছরে প্রায় ৪ লাখ ফ্রিজ তারা বিদেশে রফতানি করতে পারবে।
জানতে চাইলে ওয়ালটনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম আশরাফুল আলম বাংলানিউজকে জানান, ওয়ালটন হাই টেক ইন্ডাস্টিজের ৬ লাখ পিস ফ্রিজ উৎপাদনের ক্ষমতা সম্পন্ন একটি ইউনিট নির্মাণ করা হচ্ছে। আগামী এপ্রিল থেকে এর উৎপাদন শুরু হবে। এটি হবে সম্পূর্ণ অটোমেটেড। বর্তমানে আমাদের উৎপাদন ক্ষমতা বছরে ৮ লাখ।
ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ বলছে, বর্তমানে ওয়ালটন ফ্রিজ তৈরি করতে যেসব কাঁচামাল ব্যবহার করছে তার একটি বাদে সবই দেশে তৈরি করা হচ্ছে। শুধু কম্প্রেসারটি বিদেশ থেকে আনা হচ্ছে। তবে শিগগিরই কম্প্রেসার তৈরি করা হবে।
আশরাফুল আলম বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের ফ্রিজ ১১টি দেশে যাচ্ছে। আগামী ২০১৫ সালের মধ্যে ৫০টি দেশে রফতানি করা হবে। আর ২০২০ সালের মধ্যে বিশ্বের ১০০টি দেশে ওয়ালটনের ফ্রিজ নিয়ে যাওয়া হবে।’
কর্তৃপক্ষ বলছে, ওয়ালটন এক্সক্লুসিভ ধরনের কিছু ফ্রিজ তৈরি করবে নতুন ইউনিটে। যেসব দেশে রফতানির লক্ষ্য নিয়ে এসব ফ্রিজ তৈরি করা হচ্ছে সেগুলো হলো— যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর এবং যুক্তরাজ্য।
বর্তমানে ওয়াটনের প্রায় ২ লাখ ফ্রিজ বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে। আর গ্রাহকদের কথা বিবেচনা করে অত্যাধুনিক মডেলের ২০ থেকে ২৫ ধরনের ফ্রিজ আনা হয়েছে। ওয়ালটনের ফ্রিজের গুণগত মান নিশ্চিত করতে এর কম্প্রেসার আমদানি করা হচ্ছে সিঙ্গাপুর এবং মালেশিয়া থেকে।