যুক্তরাষ্ট্রের ফার্গুসন ও নিউইয়র্কে দু’জন কৃষ্ণাঙ্গ যুবককে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে এনওয়াইপিডি’র দু’জন পুলিশ অফিসারকে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করা হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার বিকেলে নিউইয়র্কের কৃষ্ণাঙ্গ অধ্যুষিত এলাকা ব্রুকলিনে একজন কৃষ্ণাঙ্গ যুবক কিছু বুঝে উঠার আগেই হঠাৎ করে পিস্তল বের করে গুলি করতে থাকে। ঘটনাস্থলেই দুই পুলিশ অফিসারের মৃত্যু হয়। পরে ওই যুবক ঘটনাস্থলের পাশেই একটি সাবওয়ের পাশে নিজের মাথায় গলি চালিয়ে আত্মহত্যা করে। এই ঘটনায় নিউইয়র্কসহ সারা যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনীতে আতংক বিরাজ করছে। নিউইয়র্ক সিটিতে বাড়তি সতর্ক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফার্গুসন ও নিউইয়র্কে দু’জন নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ যুবককে গুলি করে হত্যার ঘটনার পরে সারা যুক্তরাষ্ট্রে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। কৃষ্ণাঙ্গ এবং পুলিশ অনেকটা মুখোমুখি অবস্থানে দাড়িয়ে যায়। বিক্ষোভ সমাবেশগুলো থেকে আক্রমনের ফলে একাধিক পুলিশ অফিসার আহত হন। এ অবস্থায় পুলিশ তাদের নিরাপত্তার জন্য বাড়তি ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে আসছিল। কিন্তু এরই মধ্যে শ্বেতাঙ্গ দুই পুলিশ নিহত হবার পরে অবস্থা কোনদিকে মোড় নেয় সেটা এখনও বলা যাচ্ছে না। তবে এই ঘটনায় কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার প্রতিবাদে যে আন্দোলন চলছিল সেই আন্দোলন স্তিমিত হয়ে পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহত দুই পুলিশ কর্মকর্তার নাম ওয়েনজিয়ান লু এবং রাফায়েল রামোস। আর ২৮ বছর বয়সের খুনী যুবকের নাম ইসমাইল ব্রিন্সলে।
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বিকেল তিনটায় কণকণে ঠান্ডা আবহাওয়ার মধ্যে দুই পুলিশ কর্মকর্তা ব্রুকলিনের মিরটল ও টম্পকিন্স এভিনিউয়ের পাশে গাড়ির ভেতরে বসা ছিলেন। বেডফোর্ড স্টেভেসেন্ট এলাকায় সন্ত্রাস বিরোধী একটি ড্রিল চলাকালে তারা অতিরিক্ত সময়ের জন্য দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় হত্যাকারী গাড়ির পাশে এসে খুব কাছে থেকে কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই দুজনকে মাথায় গুলি করে । প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গুলি করার পরে কয়েক মূহুর্তের জন্য সে নিশ্চুপ দাড়িয়ে থাকে ওখানেই। গুলির শব্দ শুনে সাথে সাথে পাশ্ববর্তী এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশ তাকে ধাওয়া করে। কিছুদূর দৌড়ে গিয়ে পাশেই একটি সাবওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্মের কাছে নিজের মাথায় নিজে গুলি চালিয়ে খুনী মারা যায়। অন্যদিকে দুই পুলিশ অফিসারকে হাসপাতালে নেয়ার পরে মৃত ঘোষণা করা হয়। খুনী যখন স্টেশনে নিজের মাথায় গুলি চালায় তখন পুরো স্টেশন এলাকায় চিৎকার আর কান্নার রোল পড়ে যায়। যে যেদিকে পারে দৌড়ে পালাতে থাকে।
ডেরিক ম্যাকি নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান ‘তিনি চার থেকে পাঁচটি গুলির শব্দ শুনেছেন।’ এ সময় তিনি একটু দুর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এই মর্মান্তিক ঘটনার পর দু:খে ভারাক্রান্ত সহকর্মীরা যেখানে সমবেত হন সেখানে যান সিটি কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট মেলিসা মার্ক এবং সিটি মেয়র বিল ডি ব্লাজিও । কিন্তু সেখানে তাদের উদ্দেশ্যে বিদ্রুপাত্তক মন্তব্য করা হয়। কারণ এর আগে সাম্প্রতিক সময়ে কৃষ্ণাঙ্গ বিক্ষোভের সময় মেয়র প্রকারান্তরে পুলিশের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। সমবেত পুলিশের উদ্দেশ্যে এ সময় মেয়র বলেন, ‘আমরা সবাই এক আছি ।’ কিন্তু একজন পুলিশ অফিসার তখন বলে উঠেন ‘ না অবশ্যই না।’
‘আমি আজ শুয়োরের শরীরে পাখনা লাগিয়ে দিচ্ছি। তারা আমাদের একজনকে নিয়েছে, চলো আমরা তাদের দু’জনকে নেই। ’ পুলিশ অফিসারদের হত্যার তিন ঘন্টা আগে ইন্সটাগ্রামে হত্যাকারী ইসমাইল এই কথাগুলো পোষ্ট করে। আরও লিখে ‘হয়তো এটাই আমার শেষ পোষ্ট।’ একইসাথে কাঠের বাট লাগানো একটি পিস্তলের ছবিও সে পোষ্ট করে।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মতে এটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। তদন্তকারীরা ধারণা করছেন কৃষ্ণাঙ্গ যুবক এরিখ গার্নার ও মাইকেল ব্রাউনের হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে তাদের হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ আরও জানায়, হত্যাকারী শনিবার সকালেই বাল্টিমোরে তার গার্লফ্রেন্ডকে হত্যা করে নিউইয়র্কে আসে। ব্রিন্সলে ২০০৬ ও ২০১১ সালে জর্জিয়াতে গ্রেফতার হয়েছিলো অস্ত্র রাখার দায়ে। ২০০৯ সালে ওহিওতে তার বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলা হয়েছিল।
দুই পুলিশ অফিসারের হত্যার ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন নিউইয়র্কের পাবলিক অ্যাডভোকেট লেটিটিয়া জেমস। বেদনা বিধুর এই ঘটনায় নিউইয়র্কে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফার্গুসন ও নিউইয়র্কে দু’জন নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ যুবককে গুলি করে হত্যার ঘটনার পরে সারা যুক্তরাষ্ট্রে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। কৃষ্ণাঙ্গ এবং পুলিশ অনেকটা মুখোমুখি অবস্থানে দাড়িয়ে যায়। বিক্ষোভ সমাবেশগুলো থেকে আক্রমনের ফলে একাধিক পুলিশ অফিসার আহত হন। এ অবস্থায় পুলিশ তাদের নিরাপত্তার জন্য বাড়তি ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে আসছিল। কিন্তু এরই মধ্যে শ্বেতাঙ্গ দুই পুলিশ নিহত হবার পরে অবস্থা কোনদিকে মোড় নেয় সেটা এখনও বলা যাচ্ছে না। তবে এই ঘটনায় কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার প্রতিবাদে যে আন্দোলন চলছিল সেই আন্দোলন স্তিমিত হয়ে পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহত দুই পুলিশ কর্মকর্তার নাম ওয়েনজিয়ান লু এবং রাফায়েল রামোস। আর ২৮ বছর বয়সের খুনী যুবকের নাম ইসমাইল ব্রিন্সলে।
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বিকেল তিনটায় কণকণে ঠান্ডা আবহাওয়ার মধ্যে দুই পুলিশ কর্মকর্তা ব্রুকলিনের মিরটল ও টম্পকিন্স এভিনিউয়ের পাশে গাড়ির ভেতরে বসা ছিলেন। বেডফোর্ড স্টেভেসেন্ট এলাকায় সন্ত্রাস বিরোধী একটি ড্রিল চলাকালে তারা অতিরিক্ত সময়ের জন্য দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় হত্যাকারী গাড়ির পাশে এসে খুব কাছে থেকে কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই দুজনকে মাথায় গুলি করে । প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গুলি করার পরে কয়েক মূহুর্তের জন্য সে নিশ্চুপ দাড়িয়ে থাকে ওখানেই। গুলির শব্দ শুনে সাথে সাথে পাশ্ববর্তী এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশ তাকে ধাওয়া করে। কিছুদূর দৌড়ে গিয়ে পাশেই একটি সাবওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্মের কাছে নিজের মাথায় নিজে গুলি চালিয়ে খুনী মারা যায়। অন্যদিকে দুই পুলিশ অফিসারকে হাসপাতালে নেয়ার পরে মৃত ঘোষণা করা হয়। খুনী যখন স্টেশনে নিজের মাথায় গুলি চালায় তখন পুরো স্টেশন এলাকায় চিৎকার আর কান্নার রোল পড়ে যায়। যে যেদিকে পারে দৌড়ে পালাতে থাকে।
ডেরিক ম্যাকি নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান ‘তিনি চার থেকে পাঁচটি গুলির শব্দ শুনেছেন।’ এ সময় তিনি একটু দুর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এই মর্মান্তিক ঘটনার পর দু:খে ভারাক্রান্ত সহকর্মীরা যেখানে সমবেত হন সেখানে যান সিটি কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট মেলিসা মার্ক এবং সিটি মেয়র বিল ডি ব্লাজিও । কিন্তু সেখানে তাদের উদ্দেশ্যে বিদ্রুপাত্তক মন্তব্য করা হয়। কারণ এর আগে সাম্প্রতিক সময়ে কৃষ্ণাঙ্গ বিক্ষোভের সময় মেয়র প্রকারান্তরে পুলিশের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। সমবেত পুলিশের উদ্দেশ্যে এ সময় মেয়র বলেন, ‘আমরা সবাই এক আছি ।’ কিন্তু একজন পুলিশ অফিসার তখন বলে উঠেন ‘ না অবশ্যই না।’
‘আমি আজ শুয়োরের শরীরে পাখনা লাগিয়ে দিচ্ছি। তারা আমাদের একজনকে নিয়েছে, চলো আমরা তাদের দু’জনকে নেই। ’ পুলিশ অফিসারদের হত্যার তিন ঘন্টা আগে ইন্সটাগ্রামে হত্যাকারী ইসমাইল এই কথাগুলো পোষ্ট করে। আরও লিখে ‘হয়তো এটাই আমার শেষ পোষ্ট।’ একইসাথে কাঠের বাট লাগানো একটি পিস্তলের ছবিও সে পোষ্ট করে।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মতে এটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। তদন্তকারীরা ধারণা করছেন কৃষ্ণাঙ্গ যুবক এরিখ গার্নার ও মাইকেল ব্রাউনের হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে তাদের হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ আরও জানায়, হত্যাকারী শনিবার সকালেই বাল্টিমোরে তার গার্লফ্রেন্ডকে হত্যা করে নিউইয়র্কে আসে। ব্রিন্সলে ২০০৬ ও ২০১১ সালে জর্জিয়াতে গ্রেফতার হয়েছিলো অস্ত্র রাখার দায়ে। ২০০৯ সালে ওহিওতে তার বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলা হয়েছিল।
দুই পুলিশ অফিসারের হত্যার ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন নিউইয়র্কের পাবলিক অ্যাডভোকেট লেটিটিয়া জেমস। বেদনা বিধুর এই ঘটনায় নিউইয়র্কে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।