বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের অভিযোগ এনে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট মমতাজউদ্দিন আহমদ মেহেদী।
আগামী সাত দিনের মধ্যে ক্ষমা প্রার্থনা ও বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজউদ্দিন আহমদ মেহেদী বুধবার রেজিস্ট্রার্ড ডাকযোগে এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।
নোটিশ প্রেরণকারী আইনজীবী মেহেদী সাংবাদিকদের জানান, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে তারেককে এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানায়। তারেক রহমান সাতদিনের মধ্যে ক্ষমা প্রার্থনা ও বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করবেন বলেও জানান তিনি।
গত ১৫ ডিসেম্বর পূর্ব লন্ডনের আর্টিয়াম হলে যুক্তরাজ্য বিএনপির বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান দাবি করেন, ‘ইয়াহিয়ার নেতৃত্বে জাতীয় সরকারে ১১ জন মন্ত্রীর বিষয়ে সমঝোতা করেছিলেন শেখ মুজিব’।
তারেক রহমান তার বক্তব্যে বলেন, ‘২৪ মার্চ ইয়াহিয়া-মুজিব বৈঠকে এ সমঝোতা হয়’।
তারেক দাবি করেন, ‘১৯৭১ সালের ১৭ থেকে ২৫ মার্চের মধ্যে ইয়াহিয়ার সঙ্গে বৈঠকে শেখ মুজিব মূলত নিজের প্রধানমন্ত্রিত্ব আদায়েই তৎপর ছিলেন। ওই সময় ইয়াহিয়াকে প্রেসিডেন্ট মেনেই মুজিব সমঝোতায় গিয়েছিলেন’।
এ প্রসঙ্গে তৎকালীন একজন অফিসারের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আলাপচারিতায় এই সমঝোতার বিষয়টি বেরিয়ে এসেছিল বলেও দাবি করেন তারেক রহমান।
তারেক রহমানের এ বক্তব্যে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মমতাজ উদ্দিন মেহেদী আজ আইনী নোটিশ পাঠান।