স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ নেত্রী বলে উল্লেখ করে বলেছেন, তিনি কথায় কথায় বলে ফেলেন এই সরকারকে ফেলে দেবেন, লুলা ল্যাংড়া করে দেবেন। কিন্তু তাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই মহাজোট সরকার এই সরকারকে ফেলে দেওয়া যাবে না।
বৃহস্পতিবার সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় তিনি একথা বলেন।
টুকু বলেন, এই সরকার কোনো ধরনের ছলচাতুরী কিংবা কূট কৌশলের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেনি। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। তাই ইচ্ছে করলেই বর্তমান সরকারকে ফেলে দেওয়া যাবে না।
বিরোধীদলীয় নেত্রীকে উদ্দেশ করে শামসুল হক টুকু বলেন, ‘তিনি যা খুশি তাই বলছেন। আর হাজার হাজার গাড়ি নিয়ে রোড মার্চের নামে রোড শো করছেন। নারী হয়েও নারীর ক্ষমতায়ন তো দূরে থাক নারীর প্রতি তার কোনো সমবেদনাও নেই। তার সময়ে সারের জন্য কৃষককে প্রাণ দিতে হয়েছিল। আজ সারের জন্য কাউকে লাইন দিতে হয় না, সার নিয়ে কোনো কারসাজিও হয় না।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি আমলে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি হয়েছিল। দেশের ৬৩ জেলায় এক সঙ্গে বোমা বিস্ফোরিত হয়েছিল। গ্রেনেড হামলা চালিয়ে বিরোধীদলীয় নেতাদের হত্যা করা হয়েছিল। তার সময়ে বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদলেও কেউ বিচার পায়নি। আজ আর বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে না। আজ দুই লাখ নারীর সম্ভ্রমহানির অভিযোগে মানবতাবিরোধীদের বিচার চলছে।’
রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনার সময় স্পিকারের কাছে ফ্লোর চান পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। এসময় মন্ত্রী বলেন, ‘আজ বিধি-বিধানের বাইরে যেতে চাই। মার্চের চেতনা আজও আমাকে আচ্ছন্ন করে।’
তিনি বিরোধীদলীয় নেত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘পাকিস্তানিরাও আমাদের লুলা ল্যাংড়া করতে পারেনি। আর আপনি বলছেন লুলা করে দেবেন। আমাদের ধমনীতে শহীদের রক্ত। তাই আমাদের লুলা ল্যাংড়া করা যাবে না। জাতীয় সংসদে সব সিদ্ধান্ত হতে হবে, রাজপথে নয়।’
মাগরিবের নামাজের বিরতির আগে মঞ্জুর কাদের কোরাইশী বলেন, ‘উনি সরকারকে ল্যাংড়া লুলা করতে চান। আল্লাহই ওনাকে ল্যাংড়া লুলা করে রেখেছেন। উনি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাটেন।’