ডিমের পুষ্টিগুণের কথা কারো অজানা নয়। সবার ধারণা, ডিম খেলে মেদ বাড়ে। বিশেষ করে ডিমের লাল অংশ। তবে গবেষণায় দেখা গেছে তার উল্টোটা। ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি। যা পেটের মেদ গলাতে সাহায্য করে। তাছাড়া, ডিম খেলে শরীরে অনেক শক্তি জমা হয়। ফলে কেউ যদি প্রতিদিন সকালের নাস্তায় একটি ডিম খান তাহলে সারাদিনে তার খুদা অনেক কম অনুভূত হবে। অর্থাৎ ঘন ঘন খুদা লাগার সম্ভাবনা কমে যায়। আর কম খেলেও শরীরে মেদ জমতে পারে না। তাই যারা শরীরের মেয়াদ নিয়ে চিন্তিত আছেন তারা প্রতিদিন সকালের নাস্তায় অবশ্যই একটি ডিম রাখবেন।
ডিম ছাড়াও আরো যেসব উপকরণ আপনার শরীরের মেয়াদ ঝড়াতে সাহায্য করতে পারে সেগুলোর তালিকা দেয়া হলো
ব্রকোলি: এই ছট্টো সবুজ সবজিটি ভিটামিন সি আর ক্যালসিয়ামে পরিপূর্ণ, যা শরীর থেকে কেমিক্যাল উপাদান কমিয়ে মেটাবলিজম কমাতে সাহায্য করে। ব্রকোলিতে জল, ফাইবারের পরিমান বেশি থাকে। ফলে সারাদিনে সামান্য ব্রকোলি আপনার শরীরের চাহিদার অনেকটাই মেটাবে। চিকিৎসকরা বলছেন, সপ্তাহে চার দিন ব্রোকলি খান। মাইক্রোওয়েভে সামান্য ভাপিয়ে নিয়ে নুন দিয়ে গোলমরিচ ছড়িয়ে ব্রকোলি খেতে পারেন।
দারচিনি: এই মশলাটায় প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। যা আপনার ব্লাট সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। নিয়ন্ত্রণে রাখে ইনসুলিনের মাত্রা। হজম শক্তি বাড়াতেও কাজ করে দারচিনি। আপনি খাওয়ার পরিমান কমিয়ে দিলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরে জমা হওয়া ফ্যাট থেকে শক্তি নিতে শুরু করে। ফলে ডায়েটিং করলে দারচিনি আপনার শরীরের চাহিদা মেটাতে সাহায্য করবে। ফলে আপনারা দারচিনি চা খান। কিংবা খাবারের তালিকায় এই মশলাটা রাখলেই হবে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
অ্যাভোকাডো: অন্য ফলের তুলনায় অ্যাভোকাডোতে ফ্যাটের পরিমান বেশি থাকে। পরিসংখ্যান থেকে দেখা গেছে, এই ফল কোলেস্টোরেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। নিউট্রিয়েন্সগুলোকে এনার্জিতে পরিণত করতে সাহায্য করে অ্যাভোকাডো। এই ফলে ভিটামিন বি থাকে, যা মেদ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।