কথা দিয়ে কথা রাখলেন আমির খান৷ হালে বেশির ভাগ বলিউডি ছবিরই বক্স অফিস কালেকশন ১০০ কোটির ক্লাবে পৌঁছতে পারল কি না, কিংবা পারলেও কত তাড়াতাড়ি, তা নিয়ে বিস্তর হইচই হয়৷
‘পিকে’ ১০০ কোটির ক্লাবে ঢুকতে পারবে কি না, এ নিয়ে অবশ্য আমির খানের কোনো মাথাব্যথা নেই৷ দিন কয়েক আগে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি তেমনই জানিয়েছিলেন৷ নতুন ছবি সম্পর্কে তার একটাই আশা, ছবিটা মানুষ দেখবে, ছবিটা ভালো চলবে৷ ১০০ কোটির ক্লাব নিয়ে তিনি মোটেও চিন্তিত নন।
আমির দাবি করেছিলেন, বক্স অফিস কালেকশন নিয়ে বলিউডে যে সব তথ্য হাজির করা হয়, তার অধিকাংশটাই ভিত্তিহীন৷ মানুষও সে সব গল্পেই বিশ্বাস করে৷ হলিউডে কোনো ছবি কতটা ব্যবসা করল তার নির্দিষ্টভাবে নজরদারির প্রক্রিয়া রয়েছে৷ ‘রেনট্র্যাক’ নামে একটি সংস্থা হলিউডি ছবির বক্সঅফিস কালেকশনের হিসাব রাখে৷ বলিউডে অবশ্য এই ধরনের কোনো সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া নেই৷ এই প্রসঙ্গেই আমির জানিয়েছিলেন, ‘আমি চাই, বলিউডেও বক্স অফিস কালেকশনের নজরদারি চালু হোক৷ আমি নিজেই এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেব৷’
উদ্যোগটা কী, আমির সেদিন স্পষ্ট করেননি৷ অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ছবি মুক্তি পাওয়ার আগে সেই ছবির তারকারা প্রচারের লাইমলাইট নিজের দিকে টানার জন্য নানা ধরনের কথা বলেন৷ কিন্তু আমির যে সেই দলের নন, তা তিনি প্রমাণ করে দিলেন৷
তিনি আভাস দিয়েছিলেন মাত্র, বলিউডে চেষ্টা চালাবেন ছবির ব্যবসায় প্রাতিষ্ঠানিক হিসেব রাখার৷ এবার দেখা গেল, নিজের নতুন ছবি ‘পিকে’র জন্যই ‘রেনট্র্যাক’ নজরদারির ব্যবস্থা করেছেন তিনি৷
অর্থাত্, নিজের ছবির লাভের অঙ্ক কতটা, তা নিয়ে মনগড়া হিসেব দাখিলের কোনো সুযোগ নেই৷ একই সঙ্গে বক্স অফিসে যদি ‘পিকে’ তেমন না চলে, তাহলে এই ছবিকে ‘সফল’ বলে দাবি করারও সুযেোগ থাকছে না তার৷ রেনট্র্যাক নজরদারি চালালে বাস্তবে যতটা ব্যবসা করবে ‘পিকে’, ঠিক ততটাই হাজির করা যাবে৷ সুতরাং নিজের ছবি দিয়েই কাজটা শুরু করলেন আমির খান৷ প্রযোজক বিধু বিনোদ চোপড়া আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছেন ‘পিকে’র বক্সঅফিস কালেকশন হলিউডের যেকোনো ছবির মতোই হিসাব রাখবে ‘রেনট্র্যাক’৷ সেই হিসাবে বলিউডে ‘পিকে’ই প্রথম ছবি যার প্রাতিষ্ঠানিকভাবে হিসাব রাখা হবে৷ – ওয়েবসাইট।