টাইম পার্সন অফ দ্য ইয়ার ইবোলা দল

টাইম পার্সন অফ দ্য ইয়ার ইবোলা দল

ebola maliপ্রাণ তুচ্ছ করে, পরিবারের কথা না ভেবে যারা পশ্চিম আফ্রিকায় ইবোলা মহামারীতে আক্রান্তদের চিকিৎসা ও সেবা করে চলেছেন, তাদেরই ২০১৪ সালের ‘পার্সন অফ দ্য ইয়ার’ বাছল ‘টাইম’ ম্যাগাজিন৷

পত্রিকা সম্পাদক ন্যান্সি গিবস এই নির্বাচনকে সমর্থন করে বলেছেন, ‘আজও পৃথিবীর বহু জায়গায় সংক্রামক ব্যাধির জন্য চিকিত্সা ব্যবস্থা উন্নত নয়৷ কিন্তু আজও এক শ্রেণির মানুষ আছেন যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে, পৃথিবীর বাকি অংশ রাতে নিশ্চিন্তে রাতে ঘুমাতে যেতে পারে৷’

প্রচ্ছদকাহিনিতে সেন্টার ফর ডিজিজ-এর ডিরেক্টর টম ফ্রাইডেনের পাশাপাশি স্থান পেয়েছেন অ্যাম্বুল্যান্স সুপারভাইজার ফোডে গালাও৷ আর্ত-পীড়িতদের কাছে কেউ ছুটে গিয়েছেন, ‘ঈশরের ডাকে’, কেউ ‘দেশের জন্য’ ৷ কারও আবার বিপদের মোকাবিলা করার এই অভ্যাস নাকি সহজাত৷

চলতি বছরে, পশ্চিম আফ্রিকার গিনি, সিয়েরা লিওন, লাইবেরিয়া এবং পরে নাইজিরিয়ায় এই সংক্রমণ ছড়ানোর ফলে ৬০০০-এরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইবোলায় আক্রান্ত হয়ে ১১,০০০ মানুষ মৃত্যুর সঙ্গে এখনও লড়ে চলেছেন৷

‘পার্সন অফ দ্য ইয়ার’ হওয়ার দৌড়ে ছিলেন আমেরিকার ফার্গুসনের বিক্ষোভকারীরা,রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, কুর্দ নেতা মাসুদ বারজানি, শিল্পপতি জ্যাক মা, প্রমুখ৷

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পাঠকদের সমীক্ষায় প্রথম হলেও, বাছাই আটজনের মধ্যে আসতে পারেননি৷ মূল তালিকায় ৫৮ জনের নাম ছিল৷

টাইম পত্রিকার পক্ষ থেকে এই সম্মান তাকে দেওয়া হয়, যিনি বিগত বছরের ঘটনাপ্রবাহের উপর সবচেয়ে প্রবল ভাবে ভালো বা খারাপ প্রভাব বিস্তার করেছেন৷

১৯২৮ সালে প্রথম এই সম্মান দেওয়া হয়৷ সে বছর সম্মানিত হন বৈমানিক চার্লস লিন্ডবার্গ ৷ এর পর সম্মানিত হয়েছেন ওয়ালিস সিম্পসন, মার্টিন লুথার কিং, নেলসন ম্যান্ডেলা, জেফ বেজোস-এর মতো বিশিষ্টজনেরা৷

আন্তর্জাতিক