রাজ পরিবারের ‘বধুরানি’কে ছুঁয়ে বিপদে ‘রাজা’!
বাস্কেট বল কিংবদন্তি লেব্রন জেমস হয়তো ওই সব ছবি তার সংগ্রহে যত্ন করে রাখবেন৷ কিন্তু, ডাচেস অফ কেমবৃজকে ছুঁয়ে ছবি তুলে বিতর্কে ‘কিং’ জেমস! অভিযোগ, কেট মিডলটনের ঘাড়ে হাত দিয়ে ছবি তুলে তিনি প্রোটোকল ভেঙেছেন৷
যুবরাজ উইলিয়াম ও কেট গত কাল নিউ ইয়র্কে গিয়েছিলেন ক্লিভল্যান্ড ক্যাভালিয়ার্স বনাম ব্রুকলিন নেটসের খেলা দেখতে৷ খেলার শেষে তারা লেব্রন জেমসের সঙ্গে দেখা করেন৷ তখনই ছবি তোলার সময় ওই কাণ্ড!
বৃটেনের এটিকেট বিশেষজ্ঞ উইলিয়াম হ্যানসন একটি বৃটিশ ট্যাবলয়েডকে বলেছেন, ‘ডাচেস এ নিয়ে চিন্তা না করলেও, জেমসের উচিত ছিল ওই ভাবে তার গায়ে হাত না দেওয়া৷ আসলে, আমেরিকানরা বৃটিশ রাজপরিবারকে একটু ছুঁতে চায়৷ এত দিনেও ওরা বৃটিশ আদবকায়দা শিখল না৷’
এ নিয়ে বৃটিশ সংবাদমাধ্যমের সমালোচনায় টুইটারে পাল্টা দিয়েছেন আমেরিকানরা৷ সকলেই জেমসের পাশে দাঁড়িয়েছেন৷ বেশিরভাগ পোস্টের বক্তব্য, জেমসের এই ব্যবহার বন্ধুত্বপূর্ণই ছিল, নিয়ম ভাঙা তার উদ্দেশ্য ছিল না৷ অনেকের আবার মন্তব্য, ‘আমেরিকানরা এমন করেই সম্মান জানায়৷ সেটা আপনার ভালো বা খারাপ লাগলে কিছু করার নেই৷’ ডেনভার ডিসপিউটের জেফ ট্রড লিখেছেন, ‘বৃটিশ আদবকায়দা বাকিংহ্যাম প্যালেসে গেলে প্রযোজ্য৷ কিন্তু, বাস্কেটবল কোর্টে আমাদেরই নিয়ম চলবে৷’
২০০৯-এও এই প্রোটোকল ভাঙা নিয়ে তুমুল হইচই হয়েছিল৷ যখন জি-২০ বৈঠকের পর এক অনুষ্ঠানে মিশেল ওবামা রানির পিঠে হাত রাখেন৷ মিশেলের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ৷ রানি মজা করে তাদের উচ্চতা নিয়ে মন্তব্য করেন৷ এমন সময় রানির হাত মিশেলের পিঠ ছুঁয়ে যায়৷ এর পরই মিশেল কয়েক সেকেন্ডের জন্য রানির পিঠে হাত রাখেন৷ যা নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়৷ যদিও বাকিংহ্যাম প্যালেসের মুখপাত্র বিবৃতিতে এই ঘটনার সমালোচনা করেনিনি৷ বলেছিলেন, ওই ঘটনা স্বতস্ফূর্ততারই প্রতীক৷ জেমস-মিডলটন বিতর্ক ফের সেই ঘটনার স্মৃতিই উস্কে দিল৷