প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে একটি দক্ষ, সুসজ্জিত এবং আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে চায়।
বুধবার সকালে রাজধানীর কুর্মিটোলায় বিমানবাহিনীর বহরে অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ বিমান অন্তর্ভুক্তি অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৩০ সালের ফোর্সেস গোলকে বাস্তবায়ন করতে এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে বিমান বাহিনীসহ সশস্ত্র বাহিনীকে কৌশলগতভাবে ও দক্ষতার ভিত্তিতে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে সরকার।
তিনি বলেন, ‘শুধু বিমান বাহিনী নয়, সেনা ও নৌবাহিনীর উন্নয়ন এবং আধুনিকায়নের জন্য আমরা বহু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আমাদের সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে একটি দক্ষ, সুসজ্জিত এবং আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। তাই এই ধারাবাহিকতায় বিমান বাহিনী বহরে আজ যুক্ত হতে যাচ্ছে ডিজিটাল ককপিট সম্বলিত আধুনিক কে-এইট ডব্লিউ জেট ট্রেইনার বিমান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জেট ট্রেনিংয়ে বিদ্যমান সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে এবং এল-থার্টি নাইন(খ-৩৯) জেট ট্রেইনার বিমানের প্রতিস্থাপক হিসেবে কাজ করবে এই বিমান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এই প্রথম কোনো জেট ট্রেইনার বিমান ১ হাজার ৪০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে চীন থেকে মায়ানমার হয়ে বাংলাদেশে এসেছে। মাত্র ১০ ঘণ্টার স্বল্প-মেয়াদী প্রশিক্ষণ নিয়ে আমাদের বৈমানিকরা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে এই কাজটি সম্পন্ন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী তাদের আন্তরিক অভিনন্দন এবং মায়ানমার সরকারকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি বলেন, আপনারা জেনে খুশি হবেন কে-এইট ডব্লিউ(ক-৮ড) একটি অত্যাধুনিক ডিজিটাল ককপিট বিশিষ্ট জেট ট্রেইনার বিমান। বিশ্বের বিভিন্ন পরাশক্তি তাদের যুদ্ধ বৈমানিক প্রশিক্ষণে এটি ব্যবহার করেন। এই বিমানের অন্তর্ভুক্তি যুদ্ধ বৈমানিক প্রশিক্ষণে আমাদের সক্ষমতাকে বিশ্বমানে নিয়ে যাবে এবং একইসঙ্গে প্রশিক্ষণকে করবে আরো নিরাপদ এবং দ্রুততর।