আল-কায়েদার সদস্যদের আটক রাখতে নতুন নির্দেশনা

আল-কায়েদার সদস্যদের আটক রাখতে নতুন নির্দেশনা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গত মঙ্গলবার সন্দেহভাজন আল-কায়েদার সদস্যদের আটক রাখার ব্যাপারে নতুন নির্দেশনা জারি করেছেন। এতে আল-কায়েদার কোন সদস্যকে মার্কিন সামরিক হেফাজতে নেওয়া হবে ও কাকে নেওয়া হবে না, তার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নতুন একটি প্রতিরক্ষা বিলের আওতায় ওবামা এ নির্দেশনা দেন।
নির্দেশনা অনুযায়ী, কিছু কিছু ক্ষেত্রে মার্কিন স্বার্থে হামলা চালানোর অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক আল-কায়েদার সদস্যদের পেন্টাগনের হেফাজতে নেওয়ার প্রয়োজন নেই। অন্য কোনো রাষ্ট্রের হাতে আটক আল-কায়েদার সদস্যদের যদি সংশ্লিষ্ট দেশের সরকার যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করতে না চায়, তাদের ক্ষেত্রেও একই বিধান প্রযোজ্য হবে। সন্দেহভাজন আল-কায়েদার সদস্য যদি যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ স্থায়ী নাগরিক হয়, অথবা আটক ব্যক্তিদের সামরিক হেফাজতে নেওয়া হলে যদি স্বীকারোক্তিমূলক তথ্য না দেওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাহলেও তাদের সামরিক হেফাজতে নেওয়ার প্রয়োজন নেই।
নির্দেশনায় ওবামা বলেন, ‘সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের সামরিক হেফাজতে নেওয়া হলে বিষয়টি আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে দুর্বলতা প্রকাশ পায়। গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও বিপজ্জনক ব্যক্তিদের বিষয়ে আমাদের অসামর্থ্য প্রকাশ পায়।’
হোয়াইট হাউস সূত্র জানায়, ‘এ নির্দেশনা জারির ফলে এখন সন্দেহভাজন আল-কায়েদার সদস্যদের বেসামরিক হেফাজত হয়ে প্রেসিডেন্টের জ্যেষ্ঠ জাতীয় নিরাপত্তা টিমের বিবেচনার ভিত্তিতেই কেবল সামরিক হেফাজতে নেওয়া হবে।’
তবে ওবামার এ নির্দেশনার সমালোচনা করেছেন রিপাবলিকানরা। নিজের দলের বেশ কিছু নেতারও সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। সমালোচকদের মতে, নতুন প্রতিরক্ষা বিলে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের ব্যাপারে সশস্ত্র বাহিনীর ক্ষমতা অযাচিতভাবে বাড়ানো হয়েছে। রিপাবলিকানরা মনে করে, এই বিল গত বছর কংগ্রেসে পাস হওয়া জাতীয় প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষ আইনের কিছু ধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তবে ওবামার প্রশাসনের কর্মকর্তারা দাবি করেন, এই বিলে বিস্মিত হওয়ার মতো নতুন কোনো কিছু যুক্ত করা হয়নি।

আন্তর্জাতিক