ঝলমলে সুন্দর চুল পেতে সবাই চায় কিন্তু খুশকির কারণে ঝলমলে চুল আর পাওয়া হয় না। খুশকি নিয়ে চিন্তা করেন না এমন মানুষের সংখ্যা খুব কমই আছে। শীতকালে বেড়ে যায় এই খুশকির যন্ত্রণা। কারণ শীতে বাতাসের আদ্রতা কমে যাওয়ায় মাথার ত্বক হয়ে যায় শুষ্ক ও রুক্ষ। খুশকির কারণে বেড়ে যায় চুল পড়া, হতে পারে চুলকানি। ঘাড়ে ও পিঠে ছড়িয়ে পড়া খুশকি দেখতে লাগে খুবই বাজে। এটি ব্যক্তিত্বের জন্যও খারাপ। তাই খুশকিমুক্ত থাকার চেষ্টা করা উচিৎ প্রত্যেকেরই। খুশকি তাড়াতে বাজারে এন্টি-ডেনড্রাফ শ্যাম্পু পাওয়া যায়। তবে ঘরোয়া উপায়েও খুশকিমুক্ত থাকা যায়।
‘হট অয়েল থেরাপি’ খুশকির জন্য উপকারী। এই থেরাপিতে খুশকির পাশাপাশি মাথার ত্বকের শুষ্কতা কমে। অলিভ অয়েল গরম করে তুলোর সাহায্যে মাথার ত্বকে লাগিয়ে নিন। এবার গরম পানিতে টাওয়েল ভিজিয়ে ভালো করে চিপে নিন। সেই টাওয়েল মাথায় জড়িয়ে রাখুন ৫ মিনিট। এভাবে ৩/৪ বার টাওয়েল ভিজিয়ে মাথায় দিন। এবার চুল শুকিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। শ্যাম্পু করবেন না। পরদিন সকালে মাথার ত্বকে ভালো করে লাগিয়ে নিন লেবুর রস এবং আধা ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করুন। এটাই হলো ‘হট অয়েল থেরাপি’। সপ্তাহে এক বার এই থেরাপি দিলে খুশকি অনেক কমে যেতে পারে।
নিম পাতায় আছে প্রাকৃতিক এন্টি ব্যাকটেরিয়া; যা খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। দুই মুঠো নিমপাতা পাঁচ কাপ গরম পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে ওই পাতা বেটে ভেজানো পানির সাথে মিলিয়ে মাথায় লাগান। ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে মাথার চুলকানি কমবে। খুশকি কমাতেও সাহায্য করে নিমপাতা।
চুলে শ্যাম্পু করার আধা ঘণ্টা আগে দুই টেবিল চামচ ভিনেগার মাথার ত্বকে ভালো করে ম্যাসাজ করে লাগিয়ে নিন। আর শ্যাম্পুর পর মাঝারি সাইজের এক মগ পানির সাথে দুই টেবিল চামচ ভিনেগার মিশিয়ে নিন। সেই পানি দিয়ে চুল আরেকবার ধুয়ে নিন। এতেও খুশকি কমে যায়।
এছাড়া এক টেবিল চামচ মেথি দুই কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন সারারাত। সকালে বেটে সেটা চুলের গোড়ায় লাগিয়ে নিন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। দেখবেন খুশকি কমে যাবে অনেকটাই। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।