আওয়ামী লীগকে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের জনক আখ্যায়িত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, অস্ত্র তাদের হাতে, বোমা মারছে তারা, মিছিলে গুলি করছে তাদের পুলিশ, হামলা করছে তাদের লোকজন। সুতরাং তারাই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের জনক।
রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী যুবদল আয়োজিত বিএনপি সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫০তম জন্মদিন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সহিংসতা করে দোষ দেয় বিএনপিকে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, “জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছিল আওয়ামী লীগের আমলে। অথচ এখন বিএনপিকে নতুন করে জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়ানোর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।”
ছাত্রলীগ দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সন্ত্রাসী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করছে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, “শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়কে ছাত্রলীগ রণক্ষেত্রে পরিণত করছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশ ধ্বংসের দিকে যাবে।”
সমস্ত চক্রান্তের সঙ্গে আওয়ামী লীগ জড়িত অভিযোগ করে বিএনপির এই মুখপাত্র কৃতকর্মের জন্য আওয়ামী লীগকে ক্ষমা চাইতেও বলেন।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর ‘বিএনপি জঙ্গিবাদী সংগঠন’এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ফখরুল বলেন, “আপনি অতীত ইতিহাস একেবারেই ভুলে গেছেন। সেই সঙ্গে তো জনগণকেও ভুলিয়ে দিতে চান।”
তথ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্য করে ফখরুল বলেন, “আপনারাই জঙ্গিবাদ শুরু করেছিলেন। আপনার আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে জাসদ গঠন করে ৩০ হাজার মানুষকে হত্যা করেছিলেন। এর জন্য আপনাদেরকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।”
আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, “আপনারা যদি এতোই জনপ্রিয় দল হোন, তাহলে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দেশে দ্রুত নতুন নির্বাচন দিন। তাহলেই বোঝা যাবে আপনারা জনগণের কাছে কতটা জনপ্রিয়।”
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ডাকে সবাইকে আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন ফখরুল।
সভায় যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, ডিইউজের সভাপতি আব্দুল হাই শিকদার প্রমুখ।