বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেছেন, ভারতকে যদি বন্ধু হতে হয়, তাহলে বন্ধুত্বের প্রমাণ রাখতে হবে। সীমান্তে বাংলাদেশের নিরীহ নাগরিকদের গুলি করে হত্যা করলে বন্ধুত্ব রক্ষা হয় না।
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইন্ডিয়া সিটিজেন সোসাইটি (বিআইসিএস) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ভারত বন্ধুত্ব দুদেশের আর্থ সামাজিক উন্নায়নের সোপান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মিজান বলেন, বঙ্গবন্ধু সাদামাটা একটা পররাষ্ট্র নীতিমালা করেছিলেন। নীতিমালা এমন করেছিলেন যাতে করে কোন দেশের সাথে শত্রুতার সৃষ্টি না হয়।
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে তিনবার ফ্রেন্ডশিপ চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সর্ব শেষ ৩য় চুক্তিতে ১২টি লাইন ছিল। যাকে ইন্দিরা চুক্তি বলেন। কিন্তু এই চুক্তিটা আওয়ামী লীগ সরকার কখনো জনসম্মুখে প্রকাশ করতে সাহস পায় না। এ জন্য বিরোধীরা এই চুক্তিকে গোলামীর চুক্তি বলে।
ওই চুক্তিতে উল্লেখ ছিল, দুই দেশ পরস্পরের বিরুদ্ধে কোন সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারবে না। যদি ওই চুক্তি জনসম্মুখে আসত তাহলে দশ ট্রাক অস্ত্র কেলেঙ্কারীর মতো ঘটনাও ঘটতো না।
সভায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক দুর্গা দাস ভট্টাচার্য বলেন, বিশ্বে আইটিতে ভারত শীর্ষ স্থানে রয়েছে। তারা প্রতি বছর আইটি রপ্তানি করে ১৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে। কিন্তু শীর্ষ দশের মধ্যে ভারতের অবস্থান নেই।
সংগঠনের সভাপতি জাফর ইকবাল সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহারিয়ার আলম, ভারতীয় হাইকমিশনের তথ্য ও রাজনীতি বিষয়ক কাউন্সিলর সুজিত ঘোষ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্জ অধ্যাপক দুর্গা দাস ভট্টাচার্য, নাট্যজন ড. এনামুল হক প্রমুখ।